লোকসানের বোঝা নিয়েই দেশের সর্ববৃহৎ জয়পুরহাট চিনিকলের উৎপাদন শুরু হচ্ছে আজ। আরও দুটি চিনিকলের আখ মাড়াই হবে এখানে। ১ লাখ ৬২ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে তিনটি চিনিকল এবার ১০ হাজার ৬৯২ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এরমধ্যে জয়পুরহাট চিনিকলে অধীন ৬০ হাজার, রংপুরের শ্যাম্পুর চিনিকলের ৫০ হাজার এবং গাইবান্ধার রংপুর চিনিকলে ৫২ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই হবে।
১৯৬২-৬৩ মৌসুমে যাত্রা শুরু করা জয়পুরহাট চিনিকলটির এবার হবে ৫৮তম আখ মাড়াই মৌসুম। ৫৮ মাড়াই মৌসুমের মধ্যে ১৫টিতে এ চিনিকল লাভের মুখ দেখেছে। বাকি সব মাড়াই মৌসুমে চিনিকলটি কমবেশি লোকসান গুনেছে। বর্তমানে এ চিনিকলে পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটি টাকা।
জয়পুরহাট চিনিকলে ৮ কোটি টাকার ১ হাজার ৩১৮ মেট্রিক টন চিনি অবিক্রীত রয়েছে। শ্রমিক কর্মচারীর বেতন বকেয়া রয়েছে ৪ মাস। জয়পুরহাটের সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদু এবার মাড়াই মৌসুম উদ্বোধন করবেন। গতবারের মতো এবারও মিলগেটে আখের মূল্য কুইন্টাল প্রতি ৩৫০ এবং বাহিরের কেন্দ্রগুলো থেকে ৩৪৩ টাকা দরে আখ কেনা হবে। জয়পুরহাট চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আবু বকর জানান, করোনা পরিস্থিতি এবং খোলা বাজারে আমদানি করা চিনির মূল্য কিছুটা কম হওয়ায় চিনিকলে উৎপাদিত চিনি বিক্রি হচ্ছে না। খুব শিগগিরই শ্রমিক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হবে।