বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

হাঁস পালনে সফল শতাধিক খামারি

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উন্নত জাতের হাঁস পালন করে ব্যবসা সফল হয়েছেন শতাধিক খামারি। গতকাল সরজমিনে মালিপাড়া, মাঝগাঁও, গুড়ুমশৈল, মহানন্দাগাছা, মনপেরিত ও বাহিমালী গ্রামের কয়েকটি হাঁসের খামার পরিদর্শনকালে এমনটিই জানিয়েছেন ওই সব খামারি। উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. উজ্জ্বল কুমার কুন্ডু জানান, বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় অন্তত ১০৩টি উন্নত জাতের হাঁসের খামার আছে। যেখানে ক্যাম্বেল, বেইজিং, ঝিল্ডিং, রানার ও ঝিনুকসহ লক্ষাধিক হাঁস পালিত হচ্ছে। এতে করে একদিকে যেমন দেশের মানুষের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। অপর দিকে বেকার যুবক ও মহিলাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। মালিপাড়া গ্রামের খামারি মাহবুর রহমান জানান, আমি ৮ মাস আগে ক্যাম্বেল জাতের ১ দিন বয়সী ১০০ নর ও ৮৫০ নারী হাঁসের বাচ্চা কিনেছি। হাঁসগুলো পালনে প্রতিদিন গড়ে ১৩০ কেজি খাবার, লেবার, শেড ও বিদ্যুৎ বিল বাবদ খরচ হচ্ছে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ টাকা। হাঁসগুলো ৬ মাস পালনের পর ডিম দিতে শুরু করেছে। গত ২ মাস ধরে প্রতিদিন গড়ে ৬৫০-৬৭০ টি ডিম পাচ্ছি। এগুলো বীজ হিসেবে হ্যাচারি মালিকরা প্রতিটা ডিম ১৩/১৪ টাকায় ক্রয় করে খামার থেকে নিয়ে যান।

 এখন প্রতিদিন আমার সব খরচ বাদে প্রায় ৪ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। হাঁসের কোনো সমস্যা দেখা দিলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাচ্ছি। মাঝগাঁওয়ের খামারি একরামুল হক বলেন, খামারিদের আরও সরকারি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক উদ্যোক্তা হয়ে স্বনির্ভর হতে পারতেন। রাথুরিয়া গ্রামের খামারি জাকির হোসেন সরকার বলেন, ফিডের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকলে ও উন্মুক্ত জলাশয়ে হাঁস পালন সম্ভব হলে খামারিদের ব্যাপক লাভ হবে। সরকার যদি সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে শিক্ষিত বেকারদের হাঁসপালনে উদ্যোক্তা হিসেবে ঋণ সুবিধা দেয় তাহলে অনেকেরই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।

সর্বশেষ খবর