‘আগে কাজ কইরা সারতে পারতাম না। আর এহন তেমন কাজ নাই। তার পরও পূর্বপুরুষের ব্যবসা, তাই ছাড়তে পারি না।’ এভাবেই ভাঙ্গা উপজেলার কাউলীবেড়া হাটে বসে নিজের অভিমত ব্যক্ত করলেন সুবাস চন্দ্র কর্মকার (৬৬)। সুবাস জানান, তার বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার পরানপুর গ্রামে। ওই গ্রামে সাতটি কামার পরিবার বসবাস করে। প্রায় ৫০ বছর ধরে তিনি এ কাজ করছেন। দিনে দিনে আধুনিক কলকারখানার বিকাশে তার মতো এ পেশার সবারই দুর্দিন চলছে। তারা দা, বঁটি, ছোল, কাস্তে, সাবল, কোদাল, কুড়াল, খোন্তাসহ গৃহস্থালির নিত্য ব্যবহার্য জিনিস তৈরি করে থাকেন। জানা যায়, আগে কাউলীবেড়া হাটের (সপ্তাহে শুক্র ও সোমবার) দিন ক্রেতার লাইন পড়ে যেত। এখন ক্রেতার খোঁজে বসে থাকেন কামাররা। কাউলীবেড়া হাটের আর কে কর্মকার গোপাল (৭০)। তিনি বলেন, একে তো বেচাকেনা নেই। তার ওপর প্রতি হাটে ২০ টাকা করে খাজনা দিতে হয়। ভাঙ্গা উপজেলায় ৪০টির অধিক কামার পরিবার রয়েছে। অনেকেই পূর্বপুরুষের এ পেশা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।