রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

চাঁদাবাজি ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে ধর্মঘট

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ার শেরপুরে চাঁদাবাজি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুরের প্রতিবাদে দোকানপাট বন্ধ করে ধর্মঘট পালন করেছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শহরের ধুনটমোড়স্থ পৌর মার্কেটের অর্ধশত ব্যবসায়ী এই কর্মসূচি পালন করেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ঘটনার সুষ্ঠু বিচারসহ সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধের আশ্বাস দেওয়ার পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। তবে এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়নি। ভুক্তভোগীসহ একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই সংঘবদ্ধ একটি চক্রের সদস্যরা শহরের ধুনট মোড় এলাকায় নিয়মিতভাবে নীরবেই চাঁদাবাজি করছিলেন। কিন্তু প্রভাবশালী ওই চক্রটির ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পাইনি। কারণ চাঁদার টাকা না পেলেই তাদের ক্ষমতাধর সদস্যদের হাতে নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হয় ব্যবসায়ীদের। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার  রাতে ওই চক্রের অন্যতম সদস্য তালতা এলাকার এক চাঁদাবাজ চক্র পৌর মার্কেটের ব্যবসায়ী আবুল   হোসেনের মুদি দোকানে এসে চাঁদার টাকা দাবি করেন।

 টাকা দিতে অস্বীকার করায় দোকানের সামনে বসা চায়ের দোকান ভাঙচুর করেন। সেই সঙ্গে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করাসহ তাকে প্রাণনাশের হুমকি-ধমকি দিয়ে চলে যান। এমন কি গতকাল সকাল ৯টার দিকে এসেও একই ঘটনা ঘটিয়ে চলে যান। এর আগের মাসেও চাঁদার টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকার জিনিসপত্র নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন তারা। এদিকে উক্ত ঘটনার প্রতিবাদ ও চাঁদাবাজি বন্ধে পৌর মার্কেটের সব ব্যবসায়ী একত্রিত হয়ে দোকানপাট বন্ধ করে ধর্মঘট শুরু করেন। সেই সঙ্গে ঘটনাটি লিখিতভাবে থানা পুলিশকে জানানো হয়। পরে থানার ওসির আশ্বাসের প্রেক্ষিতে প্রায় পাঁচঘণ্টা পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করে দোকানপাট খোলা হয়। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। পৌর মার্কেটের ব্যবসায়ী সুলতান আহমেদ সজিব, আবুল হোসেনসহ একাধিক ব্যবসায়ী জানান, সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজদের অত্যাচার-নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে জোরপূর্বক দোকানের জিনিসপত্র নিয়ে যান। আবার বাকিতে মালামাল নিয়ে চাঁদা হিসেবে সেসব পণ্যের টাকাও পরিশোধ করেন না তারা। এসব চাঁদাবাজির বিষয়টি শেরপুর টাউন পুলিশকে জানানোর পরেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই দোকান মালিক সমিতির সদস্যরা এই ধর্মঘটের ডাক দেন বলে জানান এসব ব্যবসায়ীর। জানতে চাইলে শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, দোকানের বাকি টাকা নিয়ে একটু সমস্যা হয়েছিল। সেটি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ফাঁড়ির ইনচার্জকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ধর্মঘটের কোনো বিষয় আমার জানা নেই।

সর্বশেষ খবর