দিনাজপুরে লোহার খনি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় কেবারউদ্দিন মোল্লার ২৪ শতাংশ ধানের জমিতে খনন কাজের সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত শুক্রবার নতুন খনির অনুসন্ধানে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের পুনট্টি ইউনিয়নের কেশবপুর মৌজায় সম্ভাব্য খনির অবস্থান চিহ্নিত করে অনুসন্ধানী কূপ খননের উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর (জিএসবি)-এর মহাপরিচালক ড. মো. শের আলী। বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর (জিএসবি)-এর মহাপরিচালক ড. মো. শের আলী জানান, আমরা তেল এবং গ্যাস বাদে বাকি যত খনিজ সম্পদ আছে। সেগুলো গবেষণা করে এবং ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলো নির্ণয়ে শিলাস্তরের অবস্থাগুলো নির্ণয় করি। এখানের শিলাস্তর কেমন আছে। আমরা জানতে চাই। শিলাস্তরের মাঝে মাঝে খনিজ সম্পদ থাকার সম্ভাবনা আছে। এই ইনফরমেশনগুলো সংগ্রহ করি। সরকারের কাছে সরবরাহ করি। এটিই আমাদের কাজ। কোথায় কোন মূল্যবান জিনিস আছে। আমরা খুঁজছি খনিজ সম্পদ।
এর মধ্যে লোহা থাকতে পারে। কাঁচাবালি, সিলিকা বালিও থাকতে পারে। যে কোনো ধরনের খনিজ সম্পদ থাকতে পারে। আমরা এই তথ্যগুলো সংগ্রহ করে সরকারকে দিচ্ছি।
চাষি কেবারউদ্দিন মোল্লা জানান, তাঁকে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের জমি চুকানি (চুক্তি) অনুযায়ী বাজার মূল্যে টাকা প্রদান করা হয়েছে। তিন মাস কূপ খনন করে খনিজ সম্পদের অনুসন্ধান কাজ চালাবেন তারা। ধারণা করা হচ্ছে, ম্যাগনেটিক মেটাল জাতীয় পদার্থ থাকার ধারণা করছেন। সম্ভাব্য খনিতে লোহার কাঁচামাল আকরের সঙ্গে তামাসহ অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ পাওয়ার আশা রয়েছে। তবে খনন শেষ না হলে, কিসের খনি আছে, কী নাই তা এখনই বলা সম্ভব নয় বলে জানান তারা। জানা গেছে, ১ হাজার ৪০০ ফুট খনন করা হচ্ছে। তিন মাস ধরে এই অনুসন্ধানী কূপ খনন কাজে ভূতত্ত্ববিদ ও খনন প্রকৌশলীরা কাজ করবেন। অনুসন্ধানী কূপ খনন কাজে দল প্রধান হিসেবে রয়েছেন উপপরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. মাসুদ রানা। তার সঙ্গে রয়েছেন ১০ সদস্যের একটি টিম। স্থানীয় আফসার আলীসহ কয়েকজন জানান, যদি এ অঞ্চলে কোনো মূল্যবান খনি পাওয়া যায়, তাহলে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। বেকারত্ব ঘুচে হবে কর্মসংস্থান। সবাই বুক বেঁধে সেই আশায় রয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ।