শিরোনাম
শনিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

শেরপুরে খাবার পানির জন্য হাহাকার

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

শেরপুরে খাবার পানির জন্য হাহাকার

প্রতিদিন পানির খোঁজে ছুটতে হয় বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে ইউসুফের মেশিনের। নারী পুরুষ সবাই মিলে দাঁড়িয়ে যান লাইনে। পর্যায়ক্রমে কলসি, পাতিল, বালতিসহ বিভিন্ন বাসনে পানি ভরান তারা। পরে হাতে, কাঁধে বা ভাড়ে সেই পানির পাত্র নিয়ে ছোটেন বাড়ির পানে। আর এই পানিতে চলে গোসল, রান্নাবান্না, থালাবাসন  ধোঁয়ার কাজ। তবে বিদ্যুৎ না থাকলে সেখানেও জ্বালা। কেননা সব কাজ ফেলে তখন সামান্য পানির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয়।  গতকাল বগুড়ার শেরপুর উপজেলার  রামেশ্বরপুরসহ

আশপাশের কয়েক গ্রামে গেলে পানি সংগ্রহের এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে। সরেজমিনে দেখা যায় উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের অর্ধশত গ্রামে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অস্বাভাবিক নিচে নেমে গেছে। জানুয়ারি মাস থেকে একটু একটু করে পানি নিচে নামতে শুরু করলেও চলতি এপ্রিল মাসে এসে তা চরম আকার ধারণ করেছে। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর সূত্র জানায়, এই উপজেলায় সর্বমোট সরকারি-বেসরকারি মিলে অন্তত পনেরো হাজার হস্তচালিত নলকূপ রয়েছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় যার সংহভাগ নলকূপই অচল হয়ে পড়েছে। জলবায়ুর পরিবর্তন ও নদী-নালা, খাল-বিল ভরাট হয়ে যাওয়ায় দিন দিন এসব সমস্যা প্রকট হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর