বুধবার, ৭ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

ভাঙা সেতুতে দুর্ভোগে ১০ গ্রামের বাসিন্দা

বাগেরহাট প্রতিনিধি

ভাঙা সেতুতে দুর্ভোগে ১০ গ্রামের বাসিন্দা

বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের কোন্ডলা ও সুলতানপুর গ্রামের কাটাখালের ওপর নির্মিত কাঠের সেতুটি দীর্ঘ আট মাস ধরে ভেঙে পড়ে আছে। রাতের আঁধারে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারের ধাক্কায় সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় খালের দুই পাড়ের ১০ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দা পড়েছেন চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তির মধ্যে। যাতায়াতের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় কোন্ডলা ও সুলতানপুর গ্রামের সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুর ওপর দিয়ে পারাপার হচ্ছেন।

ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে স্কুল ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীসহ নারী ও শিশুরা। এমন অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছে গ্রামবাসী। এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘ আট মাস ধরে খাটাখালের ওপর নির্মিত এ সেতুটি ভেঙে পড়ার কারণে যাতায়াতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে কোন্ডলা ও সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দারা। এ ছাড়া খালের দুই পাড়ের কোন্ডলা, সুলতানপুর, নওয়াপাড়া, পাতিলাখালী, তালেশ্বর, নাটইখালী, খাসবাটি, ভাটশালা, বানিয়াগাতি ও চরগ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। স্কুল ও মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীসহ বাগেরহাট শহরে যাতায়াতের জন্য  সেতুটি সহজ মাধ্যম হওয়ায় অনেকেই ঝুঁকিপূর্ণ এ  সেতুটি দিয়ে যাতায়াত করছেন। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ভাঙ্গা এ সেতুটি পার হতে গিয়ে খালে পড়ে আহত হয়েছেন অনেকে। সুলতানপুর গ্রামের বাসিন্দা আছমা বেগম বলেন, ‘এই সাত-আট মাস ধরে আমাগো এই সেতু ভাইঙে পড়ে রইছে। গ্রামের মানুষ যাতায়াতে অনেক কষ্ট হয়। আমরা বাচ্চা নিয়ে যাতায়াত করতি পারি না।’ একই গ্রামের এনামুল কবির খান বলেন, ‘ট্রলারে ধাক্কা মেরে এই সেতুটা ভাইঙে থুইয়ে যায়। আমরা মেম্বার-চেয়ারম্যান সবাইরে জানাইছি। কিন্তু কেউ কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না। এই সেতুটির ওপর দিয়ে স্কুলগামী বাচ্চারা যাতায়াত করে।’ কোন্ডলা গ্রামের সালাম শেখ বলেন, ‘সাত-আট মাস ধইরে ভাইঙে এই সেতুটা অকেজো হয়ে রইছে, আমরা যে কি কষ্টে যাতায়াত করতিছি। চেয়ারম্যান-মেম্বারদের এত অইরে বলিছি, তারা কোনো কর্ণপাত করে না। আমাগো এই দশটা গ্রামের লোকজনের বাগেরহাট টাউনে যাতিপাছি না। অনেক মানুষ এই ভাঙা সেতু থেকে পইড়ে হাত-পাও ভাঙিছে।

বাগেরহাট বেমরতা ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন টগর বলেন, কোন্ডলা ও সুলতানপুরের মধ্যে সংযোগস্থাপনকারী সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। আমাদের সদর আসনের এমপিকে বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা আশা করছি দ্রুতই বিষয়টি সমাধান হবে এবং ওইখানে একটি সেতু নির্মাণ হবে। বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। সেতুটি জেলা পরিষদের। ইতিমধ্যেই বিষয়টি তাদের জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু হবে।

সর্বশেষ খবর