ফরিদপুরে নতুন করে পদ্মা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে ফরিদপুর সদর উপজেলার ডিক্রিরচর তিনটি গ্রামের কয়েকশ বাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে নদী ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। হুমকির মধ্যে রয়েছে স্কুল, মসজিদ, মাদরাসা সাইক্লোন শেল্টার, কয়েকশ বসত বাড়ি, ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা। গত মাসে হঠাৎ করে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন শুরু হয় পদ্মার তীরবর্তী ডিক্রির চর ও নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে। সেই সময় নদীতে ডুব চর থাকায় পদ্মার পানি ডুব চরে বাধা পেয়ে দিক পরিবর্তন করে আঘাত হানে বসতভিটা ও ফসলি জমিতে। নদী ভাঙনের কারণে সেই সময় ড্রেজার দিয়ে ডুবো চর কাটা হয়। ফলে ভাঙন কিছুটা কমে। কিন্তু ১৭ জুলাই থেকে হঠাৎ করেই ভাঙন শুরু হয়। ভাঙনে তিন দিনের ব্যবধানে ডিক্রিরচর ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের ৩০টি পরিবারের কমপক্ষে ৮০টি বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়। দুটি গ্রামের তিন একর ফসলি জমি ও ৩৩ মিটার এইচ বি বি রাস্তাও চলে গেছে নদীগর্ভে। ভাঙনের কারণে পল্লী বিদ্যুতের কয়েকটি খুঁটি ভেঙে গেলে ওইসব গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। বর্তমানে ভাঙনের তীব্রতা এতটাই ভয়াবহ যে বাড়ি-ঘর সরিয়ে নিতেও পারছেন না অনেকেই। হঠাৎ করে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করায় আতঙ্ক বিরাজ করছে নদী পাড়ের হাজারো মানুষের মাঝে। ডিক্রিরচর ইউনিয়নের নাজির বিশ্বাসের ডাঙ্গী, আইজুদ্দিন মাতব্বরের ডাঙ্গী, খিজির বিশ্বাসের ডাঙ্গী এলাকার কয়েক জনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, হঠাৎ করেই নদী ভাঙন শুরু হয়। তারা বাড়ি-ঘরের জিনিসপত্র সরিয়ে নিতেও সময় পাননি। মুহূর্তের মধ্যে নদীতে চলে যায় বসতবাড়ি ও গাছপালা। শত বছরের পুরনো বসতভিটাও হারিয়েছেন কেউ কেউ। বসতভিটা হারিয়ে একেবারেই নিঃস্ব হয়েছেন বেশির ভাগ পরিবার। ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে কয়েকটি পরিবারকে সড়কে টিন-পলিথিন দিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিয়েছেন। বৃষ্টির মধ্যে এসব পরিবার বেশ নাজুক ও অসহায় অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। বর্তমানে তিনটি গ্রামের শতাধিক পরিবার ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে। ডিক্রিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু জানান, নদী ভাঙনের কারণে প্রতি বছর গ্রামের পর গ্রাম বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদী ভাঙন ঠেকাতে টেকসই ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। তিনি বলেন, ভাঙনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের তালিকা করা হচ্ছে। যারা বসতবাড়ি হারিয়েছেন তাদের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের তরফ থেকে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নদী ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ। তিনি বলেন, নদী ভাঙনরোধে টেকসই পদক্ষেপ নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বর্তমানে ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
শিরোনাম
- সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
- সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
- গাইবান্ধা কারাগারে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
- আদাবরের শীর্ষ ছিনতাইকারী ‘চোরা রুবেল’ গ্রেপ্তার
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
- ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
- ঢাকা মেডিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ
- বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
- হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ কার্নিভাল-৩ অনুষ্ঠিত
- নভেম্বরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার
- ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব
- বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
- ৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর
- ‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’: মনোজ নয়, জয়দীপের সিজন?
- টিকটক ইউজারদের জন্য চালু হলো টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফিচার
- পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
- বাংলাদেশের কাল ব্রুনাই চ্যালেঞ্জ