শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

শিবগঞ্জে বেড়েছে সাপের উপদ্রব হাসপাতালে নেই অ্যান্টিভেনম

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

শিবগঞ্জে বেড়েছে সাপের উপদ্রব হাসপাতালে নেই অ্যান্টিভেনম

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় বেড়েছে সাপের উপদ্রব। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এ এলাকায় সাপের উপদ্রব বেড়ে যায়। তখন ঘর ও উঠান থেকে শুরু করে সড়কেও দেখা যায় নানা প্রজাতির বিষধর সাপ। বাড়ির আঙিনা ও আশপাশে বিষধর সাপের আনাগোনা থাকায় সাপের কামড়ে হতাহতের ঘটনাও ঘটে। সাপের দংশনের শিকার রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি। অথচ শিবগঞ্জ উপজেলায় সাপে কাটা রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দংশিত রোগীর জন্য নেই অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ জানিয়েছেন। জানা যায়, সাপে কাটা রোগী শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বিভাগীয় কিংবা জেলা শহরে পাঠানো হয়। সময় ক্ষেপণের কারণে অনেকে পথিমধ্যেই মারা যান। আবার কবিরাজ ওঝার শরণাপন্ন হয়ে অপচিকিৎসার শিকার হন কেউ কেউ। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিদিন বাড়ির উঠান বা মাছ ধরার জালে ধরা পড়ছে নাম না জানা সাপসহ বিষধর রাসেল ভাইপার। পদ্মা তীরবর্তী এলাকার তৌফিকুর রহমান বলেন, বর্ষাকালে এই অঞ্চলে সাপের উপদ্রব বাড়ে। সাপে কাটা রোগীর প্রয়োজনীয় ওষুধ শিবগঞ্জে না থাকায় আমরা সেবাবঞ্চিত হচ্ছি। শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আবদুল মজিদ জানান, সব সাপ বিষধর নয়। আগে সবাইকে সাপে কাটার বিষয়টি নিশ্চিত এবং কোন সাপে কেটেছে তা শনাক্ত করতে হবে। সাপের কাটা স্থানটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে এবং হালকা কিছু দিয়ে বেঁধে রাখতে হবে। শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েরা খান বলেন, এখানে সাপে কাটার চিকিৎসার ওষুধ নেই। এ কারণে  রোগী এলে বিভাগীয় কিংবা জেলা শহরে পাঠানো হয়। তিনি আরও বলেন, সাপে কাটার ওষুধ ‘অ্যান্টিভেনম’ বরাদ্দের জন্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর