বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

শিশু ওয়ার্ডে শয্যার ১০ গুণ রোগী, সেবা দিতে হিমশিম

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

শিশু ওয়ার্ডে শয্যার ১০ গুণ রোগী, সেবা দিতে হিমশিম

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড

কুষ্টিয়ায় বেড়েছে শিশুদের জ্বর, ঠান্ডাজনিত রোগের পাশাপাশি ডায়রিয়া। জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টরা। ২৮ শয্যার বিপরীতে বর্তমানে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছে ২০৬ জন। যা ধারণক্ষমতার প্রায় ১০ গুণ বেশি। শয্যা সংকটে অনেকের ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালের বারান্দা ও মেঝেতে। আবার এক শয্যায় গাদাগাদি করে একাধিক শিশুকেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন জেলা এবং জেলার বাইরে থেকে আসছে শিশুরা। গত সোমবার সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় রোগীর উপচে পড়া ভিড়। কোথাও তিল ধারণের জায়গা নেই। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন জানান, কয়েক দিন ধরে জ্বর, ঠান্ডা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত শিশু রোগী আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। ওয়ার্ডে ধারণক্ষমতার চেয়ে রোগীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি। চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর আগে গত রবিবার সকালে হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, শিশু ওয়ার্ডের প্রবেশপথে শত শত অভিভাবক ও স্বজন গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছেন। ওয়ার্ডের ভিতরেও ভিড়। ভিড়ের মধ্যেই চিকিৎসকরা সেবা দিচ্ছেন শিশুদের। হাসপাতালে বারান্দায় দেখা যায় মায়ের কোলে রেখেই স্যালাইন এবং ইনজেকশন পুশ করা হচ্ছে এক শিশুকে। শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স আফরোজা পারভীন বলেন, কয়েক দিন ধরে এখানে রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে। স্বজনরা চান তাদের শিশুকে আলাদাভাবে রেখে সেবা দেওয়া হোক। কেউ বুঝতে চায় না মাত্র ছয়জন সেবিকা কীভাবে এতো রোগীর সেবা দেবেন। এত কিছুর পরও আমরা সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. এস এম নাজিম উদ্দিন জানান, এভাবে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।

সর্বশেষ খবর