মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

বন্ধ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

মেহেরপুর প্রতিনিধি

বন্ধ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

করোনার কারণে মেহেরপুরে বন্ধ হয়ে গেছে শতাধিক কিন্ডারগার্টেন ও প্রি-ক্যাডেট স্কুল। এতে ৮০০ শিক্ষকের জীবন-জীবিকা ও ২০ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তার পথে। মেহেরপুর জেলায় নিবন্ধিত ৬০টি। এ ছাড়া ১৭৮টি কিন্ডারগার্টেন ও প্রি-ক্যাডেট স্কুল রয়েছে। জেলায় অনিবন্ধিত কিন্ডারগার্টেনের বেশির ভাগই বন্ধ হয়ে গেছে। একমাত্র জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ বাদে প্রতিটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল চরম শিক্ষার্থী সংকটে পড়েছে। অধিকাংশ স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারাও। মেহেরপুর কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের কাছে বর্তমানে মেহেরপুর কিন্ডারগার্টেন ও প্রি-ক্যাডেট স্কুলগুলো সম্বন্ধে কোনো তথ্য নেই। এ স্কুলগুলোর কী অবস্থা তাও তারা জানে না বলে জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। জানা গেছে, জেলায় প্রায় শতাধিক প্রি-ক্যাডেট ও কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে। এ স্কুলের শিক্ষক কর্মকর্তাদের বাধ্য হয়ে চাকরি ছাড়তে হয়েছে। তেমনই এসব বিদ্যালয়ের ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আবার যে প্রতিষ্ঠানগুলো চালু আছে সেগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান অনিয়মিত বেতনের সঙ্গে সঙ্গে বেতনের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। মেহেরপুর সদর উপজেলার রাধাকান্তপুর গ্রামের মা মিনা কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক মহিদুল হক জানান, করোনায় প্রায় দুই বছর স্কুল বন্ধের কারণে শিক্ষার্থী পাওয়া এখন দুষ্কর। তাই বাধ্য হয়ে স্কুল তুলে দিয়ে কফিশপ খুলে ব্যবসার সঙ্গে স্কুল মাঠে কলা চাষ করছেন। স্কুল পরিচালনার চেয়ে আর্থিকভাবে তিনি লাভবান হচ্ছেন বলেও জানান।  বুডিপোতা গ্রামের মডেল একাডেমির পরিচালোক আবদুস সালাম বলেন, স্কুল তুলে দিয়েছি। ওখানে এখন হাসপাতাল বা ক্লিনিক করব। এতে ঝুঁকি কম  লাভ বেশি। তিনি আরও বলেন, করোনাকালীন গত ১৮ মাসে প্রায় ১০-১৫ লাখ টাকা লোকসান গুনেছি। কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি জানে আলম জানান, প্রতিটি কিন্ডারগার্টেনের অবস্থা মারাত্মক শোচনীয়। শিক্ষার্থী সংকটে অনেক কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে যাবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, করোনা পরবর্তীতে বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো টিকে থাকলেও  ছোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শেষ হয়ে যাবে। স্কুল খোলার পর স্কুলগুলোতে কী অবস্থা তার কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে কবে এ তথ্য সংগ্রহ করতে পারব এখন বলা সম্ভব নয়।

সর্বশেষ খবর