একটি সেতুর অভাবে পারাপারে চলছে দুর্ভোগ। দিনাজপুরের দুই উপজেলার মাঝ দিয়ে বহমান আত্রাই নদী। স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও স্থানীয় মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়নি আজও। তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে বারবার সম্ভাব্য স্থানে মাপজোখ নিলেও আর কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে স্থানীয়রা জানায়। জেলা সদর এবং চিরিরবন্দর উপজেলার মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রাই নদীতে বর্ষাকালে নদী বিমূর্ত ধারণ করে। স্থানীয় জনগণ নদীর বাঁধ ভেঙে দিলেও শুষ্ক মৌসুমে বালুর চর আর কিছু স্থানে থাকে পানি। তাই বর্ষাকালে নৌকা আর শুষ্ক মৌসুমে স্থানীয়দের সমন্বয়ে গড়া বাঁশের সাঁকোই হয় পারাপারের একমাত্র মাধ্যম। সদরের বুড়ির হাট-চিরিরবন্দরের সাইতাড়ার মাঝে নদীর ঘাটের আশপাশের হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি বর্ষায় যেমন, শুষ্ক মৌসুমেও তেমন। কাটছে না তাদের এ ভোগান্তি। অনেকে আশ্বাস দিলেও আজও কোনো অগ্রগতি নেই বলে জানান স্থানীয়রা। প্রতিদিন নদী পারাপারে জীবনের ঝুঁঁকি নিয়ে চলাচল করছে কৃষক, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ভারী যানবাহন, মাইক্রোবাস না চললেও শুষ্ক মৌসুমে প্রয়োজনে অটোচার্জার বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়। যদিও নৌকা দিয়েও অনেকে সাইকেল-মোটরসাইকেল নিয়ে পার হয়। দবিরুল ইসলামসহ অনেকে জানান, নদীর ঘাটের পাশে বসে ‘বুড়ির হাট’। নদীর দুই পাড়ের হাজার হাজার মানুষ এই হাটে কেনাবেচা করে। এ ছাড়াও নদীর দুই পাড়ের রানীগঞ্জসহ কয়েকটি হাট-বাজার বসে। এই বুড়ির হাটের পাশে নদীর ঘাট ব্যবহার করে দিনাজপুর সদরের হরিরামপুর, ঝানঝিরা, পূর্ববীরগাঁ, পারগাঁ, মাধবপুর, রানীগঞ্জ, চাঁদগঞ্জসহ ১০ গ্রাম এবং ওপারের চিরিরবন্দর উপজেলার খোচনা, শংকরপুর, ওকরাবাড়ী, সাইতাড়া, ঘণ্টাঘর, বারলবাজারসহ ১০ গ্রামের মানুষ এই নদীর এই ঘাট ব্যবহার করেন। এ ছাড়াও এ ঘাট দিয়ে নদী পারাপার হয় পার্বতীপুর উপজেলার কয়েক গ্রামের মানুষ। উভয় দিকের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে নদী পারাপারে চরম দুর্ভোগের শিকারও হয় আবার বাজার মূল্য না পাওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়। দিনাজপুরের ফাজিলপুর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার হবিবর রহমান জানান, প্রতিদিন বর্ষার সময় নৌকা কিংবা শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁঁকি নিয়ে চলাচল করছে কৃষক, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এখন নদীতে পানি ভরাট রয়েছে তাই গর্ভবতী মহিলা, শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও অসুস্থ রোগীদের পারাপার করা যেমন ভীতিকর তেমনি খুব কষ্ট ও ঝুঁঁকিপূর্ণ। এসব অঞ্চলের জীবনযাত্রার মান পাল্টাতে হলে এবং গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী করতে অবশ্যই এখানে একটি সেতুর জরুরি প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউপি পরিষদ এলজিইডিকে জানিয়েছে এখানে একটি সেতু করার জন্য। তিনি আরও জানান, ওইসব বিভাগ থেকে কয়েকবার এসে সয়েল টেস্ট, মাপজোখ করে নিয়ে গেলেও আর কোনো অগ্রগতি নাই।
শিরোনাম
- সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
- সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
- গাইবান্ধা কারাগারে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
- আদাবরের শীর্ষ ছিনতাইকারী ‘চোরা রুবেল’ গ্রেপ্তার
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
- ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
- ঢাকা মেডিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ
- বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
- হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ কার্নিভাল-৩ অনুষ্ঠিত
- নভেম্বরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার
- ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব
- বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
- ৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর
- ‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’: মনোজ নয়, জয়দীপের সিজন?
- টিকটক ইউজারদের জন্য চালু হলো টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফিচার
- পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
- বাংলাদেশের কাল ব্রুনাই চ্যালেঞ্জ