শিরোনাম
রবিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

দণ্ডের পরও ভাটায় পুড়ছে খড়ি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

দণ্ডের পরও ভাটায় পুড়ছে খড়ি

ইট ভাটায় খড়ি পোড়ানোর দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা ও কারাদণ্ড দেওয়ার ১০ দিন পার না হতেই একই ভাটায় আবারও শুরু হয়েছে খড়ি পোড়ানো। জানা গেছে, গত ৯ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি ইটভাটায় খড়ি পোড়ানোর অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও দুজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের দেওয়ানতলা এলাকার একটি ভাটায় এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভাটায় পাওয়া মজুদকৃত খড়ি জব্দ করা হয়। পরে নিলামে বিক্রির আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চন্দন কর। এদিকে গতকাল বিকালে ভাটায় গিয়ে দেখা যায়, ভাটার চারদিকজুড়ে খড়ির স্তূপ। কয়েকজন শ্রমিক চারপাশে খড়ি কাটার কাজ করছে। এ ছাড়াও ফায়ারম্যানদের আগুনের ভিতরে আম, মেহগনিসহ বিভিন্ন গাছের খড়ি দিতে দেখা গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইটকাটা শ্রমিক জানান, অভিযানের দুইদিন পর থেকেই ভাটা আবার চালু হয়েছে। শুরুর সময়ে এমন অভিযান মালিক পক্ষকে খুবই ক্ষতির মধ্যে ফেলেছে। এখন ভাটা বন্ধ করলে পথে বসা ছাড়া উপায় থাকবে না। অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত, ভাটার শ্রমিক ও প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, ১০-১২ হাজার মণ খড়ি মজুদ করে মহারাজপুর ইউনিয়নের দেওয়ানতলা এলাকার একটি ভাটায় আগুন দেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। এমন সময় ৯ নভেম্বর বিকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় ভাটা মালিক বারঘরিয়া ইউনিয়নের চামাগ্রাম গ্রামের মো. মোক্তার হোসেন, শ্রমিকসহ অনেকেই পালিয়ে যায় এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত ৭দিনের কারাদণ্ড দেয় ফায়ারম্যান ও নাইটগার্ডকে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভাটা মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে এবং অভিযানে প্রায় ২ হাজার মণ খড়ি জব্দ করা হয়। জব্দকৃত খড়ি মহারাজপুর ইউপি সদস্য মো. লিটন ও স্থানীয় চৌকিদারের জিম্মায় দেওয়া হয় নিলামে বিক্রির জন্য। তবে এখন পর্যন্ত খড়িগুলো বিক্রি হয়নি। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য লিটন মুঠোফোনে জানান, ক্রেতা পাওয়া যায়নি, ফলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জব্দকৃত খড়িগুলো এখনো অবিক্রীত রয়ে গেছে।

অন্যদিকে জেলার বিভিন্ন ইট ভাটায় অবাধে খড়ি পোড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চন্দন কর জানান, মেসার্স স্কয়ার ফিক্সট ব্রিকস ভাটা নয়, সব ভাটায় খড়ি পোড়ানো অপরাধ। সরেজমিন গিয়ে এর সত্যতা পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপরে আবারও খড়ি পোড়ানো হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিবেশ রক্ষায় এমন অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

 

সর্বশেষ খবর