রবিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ঠাকুরগাঁওয়ে আলুর কেজি ৪ টাকা, কৃষকের মাথায় হাত

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ে আলুর কেজি ৪ টাকা, কৃষকের মাথায় হাত

দেশে আলু উৎপাদনে ঠাকুরগাঁওয়ের অবস্থান দ্বিতীয়। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে অন্য জেলাতেও সরবরাহ করা হয় এখানকার আলু। কিন্তু এবার আগাম আলুর দাম না পেয়ে লোকসানে পড়েছে চাষিরা। পাইকারি দরে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪ টাকা তবুও মাঠে ক্রেতা নেই। গত বছর চাষিরা এই সময় প্রতি কেজি আলু মাঠেই বিক্রি করেছিলেন ৩০/৩৫ টাকা দরে আর এবার সেই আলু বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৪ টাকা দরে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলার পাঁচ উপজেলায় এবার ২৭ হাজার ৬৪৭ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। ইতোমধ্যে ২ হাজার ৭৭০  হেক্টর জমির আলু উত্তোলন করা হয়েছে। আলু উৎপাদন ধরা হয়েছে প্রতি হেক্টরে ২৪ মেট্রিক টন। বর্তমান বাজার দরে আলু বিক্রি করে প্রতি হেক্টরে (২৪৭ শতক) চাষিরা দাম পাচ্ছেন ৯০-১০০ হাজার টাকা। আর প্রতি হেক্টর আলুর উৎপাদন খরচ হয় প্রায় দুই লাখ টাকা। গত বছর জেলায় ২৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। আর উৎপাদন হয়েছিল ৭ লাখ ৪১ হাজার ২৯৭ মে.টন। সদর উপজেলা আকচা এলাকার আলু চাষি মুনসুর আলী বলেন, আমি এবার তিন একর জমিতে আলু চাষ করেছি। গত বছর আলুর ভালো দাম পেয়ে লাভবান হয়েছিলাম, কিন্তু এবারে আলু করে ৪ টাকা দরে বিক্রি করতে হলো তাও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। এবারে আলু করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত আমি। আরেক চাষি বলেন, এবারে কীটনাশকের দাম অনেক বেশি ছিল। আর এবারে আলুর দাম কম, গত বছর আলুর দাম বেশি ছিল আর কম ফলনেও ভালো লাভ হয়েছে। এবার বেশি ফলনেও লোকসান হচ্ছে। কম দামে আলু বিক্রি করে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। তার পরেও নগদ টাকার  ক্রেতা নেই। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন বলেন, গত বছরের বাড়তি আলুর মজুদ শেষে হলে বাজারের অবস্থা ঠিক হবে আশা করছি। সেই সঙ্গে আলুর ফলন ভালো হলে চাষিদের লোকসান পুষিয়ে যাবে। চাষকৃত আলু এখন পর্যন্ত ভালো অবস্থায় আছে। চাষিদের যে কোনো পরামর্শের জন্য কৃষি বিভাগ মাঠপর্যায়ে রয়েছে।

সর্বশেষ খবর