মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

১৪ মাস পর হত্যারহস্য উদঘাটন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

১৪ মাস পর হত্যারহস্য উদঘাটন

দীর্ঘ ১৪ মাস পর পিঁয়াজ ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদ হত্যারহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন  সিরাজগঞ্জের সদস্যরা। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত করতে গিয়ে মিলেছে আন্তজেলার দুর্ধর্ষ ডাকাত দলের সন্ধান। যারা দীর্ঘদিন ধরে পাবনা, নাটোর, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন অঞ্চলে মহাসড়কে ডাকাতি-ছিনতাই করে আসছিল। গতকাল দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিবিআই সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মো.  রেজাউল করিম। পুলিশ সুপার বলেন, ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর রাতে সলঙ্গা থানার পাটধারী এলাকায় মহাসড়কের পাশ থেকে পিঁয়াজ ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় শামসুল হক  নামে আরও এক পিঁয়াজ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়। নিহত নূর মোহাম্মদ নাটোর জেলার নলডাঙ্গা থানার ঠাকুর লক্ষ্মীকোল গ্রামের মো. তমিজ মন্ডলের ছেলে এবং আহত শামসুল হক একই গ্রামের হাফিজ আলী সরদারের ছেলে। এ ঘটনায় নূর  মোহাম্মদের ভগ্নিপতি জাকির হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। ১০ দিন পর পিবিআই মামলাটি গ্রহণ করে সন্দেহভাজন আসামি অপর পিঁয়াজ ব্যবসায়ী শামসুল হককে তিন দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের কোনো তথ্য উদঘাটন করতে না পেরে ৬/৭ মাস মামলাটির তদন্ত কাজ স্থগিত করা হয়। এরপর আশপাশের জেলাগুলোতে ঘটে যাওয়া একই ধরনের কয়েকটি ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়।

 ওসব ঘটনায় পাট, মহিষ, পিঁয়াজ, রসুন, নগদ টাকা,  মোবাইল ছিনতাই এবং ডাকাতির মতো তথ্য পাওয়া যায়। আর অপরাধীরা ছিনতাই করা মোবাইলের সিম ব্যবহার করে এসব অপকর্ম চালিয়ে আসছে বলে তদন্তে বেরিয়ে আসে। পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার সময় নিহত নূর  মোহাম্মদ যে স্থানে পিঁয়াজ লোড করেছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে  সেখানে ইছার উদ্দিন ওরফে ইছার (৪৮) নামে একজন দুর্ধর্ষ ডাকাতের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপরই তাকে গ্রেফতারের জন্য সন্ধান চালায় পিবিআই। পরবর্তীতে জানা যায় ইছার উদ্দিন ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার একটি ডাকাতি মামলায় কারাগারে আটক আছেন। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে কুমিল্লা কারাগার থেকে এনে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ইছার উদ্দিন নূর মোহাম্মদ খুনের ঘটনার কথা স্বীকার করে এবং তার আরও ৫ জন জড়িত আছে বলে জানায়। ইছার উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় খুন ও ডাকাতিসহ অন্তত ১৫/১৬টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, ইছার উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর