পৃথক মামলার রায়ে ৫৮ লাখ টাকা অর্থ দন্ডের ২৯ লাখ জমা না দিয়েই ভুয়া ব্যাংক চালান দেখিয়ে কারাগারে থাকা একাধিক আসামির জামিন নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানাজানির পর আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গতকাল জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। জয়পুরহাট দ্বিতীয় যুগ্ম জজ আদালতে করা এনআই অ্যাক্টের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামির জামিন আবেদনে জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। জাল ব্যাংক চালান জমা দেওয়ার অভিযোগে জেলা জজ আদালতের আইনজীবী আনিছুর রহমান তিনজনকে আসামি করে ওইদিন রাতে সদর থানায় মামলা করেন। পুলিশ এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
করিম জামিন পাওয়া আসামি সোহেল রানার ভাই। অন্য আসামিরা হলেন, সোহেল রানার বোন পারুল ও আলম বাবু। আদালত সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার পাঁচুরচক ফকিরপাড়ার সোহেল রানার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি ২৮ লাখ ১৬ হাজার টাকার চেক ডিজঅনারের অভিযোগে মামলা হয়। বাদী একই উপজেলার হিচমী বাজারের বিজলী ফিড মিলের মালিক আমানুল্লাহ। মামলায় আসামি সোহেল রানাকে দোষী সাব্যস্ত করে এক বছরের কারাদন্ড ও ২৮ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে। গত বছরের ৬ জুলাই পুলিশ সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। এরপর আসামি পক্ষের আইনজীবী জয়পুরহাট সোনালী ব্যাংকের সিল-স্বাক্ষর করা ১৪ লাখ ৮ হাজার টাকার ট্রেজারি চালান কপি জমা দিয়ে গত ২৫ নভেম্বর আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় একজন আইনজীবী ও একজন স্থানীয় ব্যক্তির জিম্মায় জামিনের আদেশ দিলে ২৮ নভেম্বর সোহেল কারামুক্ত হন। ১৭ জানুয়ারি বাদী পক্ষের আইনজীবী জানতে পারেন আসামির জামিন আবেদনের সঙ্গে দেওয়া চালানে কোনো টাকা জমা হয়নি। ট্রেজারি চালানে ব্যাংক রশিদের সিল ও স্বাক্ষর জাল। জয়পুরহাট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহানুর রহমান শাহিন বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িত চক্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি’। সদর থানার ওসি আলমগীর জাহান বলেন, ‘ট্রেজারি চালান ও ব্যাংকের সিল-স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।