চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই প্রকল্পে স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী ও একই পরিবারের একাধিক শ্রমিক কাজ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নসহ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য সরকার ৪০ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করে।
এ জন্য রাস্তা, বাঁধ নির্মাণ ও স্কুলের মাঠ সংস্কারের জন্য প্রকল্প নেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অতিদরিদ্রদের বাছাই করে প্রতিজনের প্রতিদিন ৪০০ টাকা পারিশ্রমিক ধরা হয়েছে। অন্যদিকে উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের সাত রশিয়া বিলের ঘাটের পাশে একই স্থানে বিগত ছয় বছর ধরে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই অর্থবছরেও একই স্থানে কর্মসূচির প্রকল্প দেওয়া হয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। কিন্তু প্রতিটা প্রকল্পে ১০০ জন শ্রমিক কাজ করার কথা থাকলেও সরেজমিনে দেখা গেছে প্রতিটা প্রকল্পে ১০/১৫ জন শ্রমিক কাজ করছে। মনাকষা ইউনিয়নের সাত রশিয়া বিলের ঘাটের প্রকল্পে কাজ করছে স্কুল ও কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী। ওই প্রকল্পে আবদুর রহমান নামে নবম শ্রেণি ও মো. ইউসুফ আলী নামে এইচএসসি ফলপ্রার্থীকে কোদাল ও ডালি মাথায় রাস্তায় মাটি ফেলতে দেখা যায়। ওই শিক্ষার্থীরা বলছে তাদের পিতার পরিবর্তে কাজ করছে। কিন্তু প্রথমে তারা তাদের পরিচয় গোপন করছিল। এদিকে প্রকল্প তত্ত্বাবধায়ক গ্রাম পুলিশ ফারুক হোসেন বলেন, সাত রশিয়া বিলের ঘাট এলাকায় কোনো প্রকল্প নেই। কিন্তু চেয়ারম্যান তাদের কাজ করাচ্ছে। অন্যদিকে মনাকষা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মো. ডালিম জানান, বিগত ছয় বছরে একই স্থানে চেয়ারম্যান ১২টি প্রকল্প দিয়েছেন। এ বছরও একই প্রকল্পে কাজ করছে শ্রমিকরা। কিন্তু এসব প্রকল্পে শ্রমিকদের নামের তালিকায় একই পরিবারের ৩/৪ জন সদস্যের নাম রয়েছে। এ ছাড়া তালিকায় নাম থাকলেও অনেকে কাজে যায় না এবং কেউ কেউ বদলি পাঠিয়ে দায়সারা কাজ করছে। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম জানান, মনাকষা ইউনিয়নের সাত রশিয়া বিলের ঘাটের পাশে কোনো প্রকল্প নেই। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সব তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।