চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তোলা ‘স্বয়ম্ভর পাবলিক লাইব্রেরি’। এলাকার শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্করাও এ লাইব্রেরিতে আসেন বই পড়তে। জ্ঞানের তৃষ্ণা মেটাতে স্থানীয়রা ছুটে আসেন লাইব্রেরিতে। প্রযুক্তির যুগেও বইয়ের মাধ্যমে মনের তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন পাঠকরা। লাইব্রেরি সূত্রে জানা যায়, স্বয়ম্ভর পাবলিক লাইব্রেরিতে বই আছে দেড় হাজারের মতো। যার প্রায় সবগুলোই নিজ উদ্যোগে সংগ্রহ করেছেন এর প্রতিষ্ঠাতা এনামুল হক। প্রতিষ্ঠাতা এনামুল হকের উদ্যোগে এলাকার অনেকের আগ্রহ বেড়েছে বই পড়ায়। প্রতিদিন বিকাল হলেই এক শ্রেণির মানুষ ছুটে আসেন স্বয়ম্ভর লাইব্রেরিতে। বই পড়েন পছন্দমতো। কেউ বই নিয়ে যান বাড়িতে। পড়া শেষে সপ্তাহান্তে বদলে নেন বইটি। এভাবেই চলে তৃষ্ণার্ত পাঠকের জ্ঞান আহরণ। পাঠকরা জানান, বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও আসে লাইব্রেরিতে। নিজেদের সমৃদ্ধ করতে তারাও বই পড়ছে। লাইব্রেরিতে অন্তত ৬০০ নিয়মিত পাঠক রয়েছে। যারা মনে করেন সমাজের বিত্তবানদের হাত ধরে আরও সমৃদ্ধ হবে লাইব্রেরিটি। স্বেচ্ছাসেবক রাকিব মাহমুদ জানান, বর্তমানে তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তি এবং যান্ত্রিকতার ওপর নির্ভরশীল। তারা অনেকটা বই বিমুখ হয়ে পড়েছিল। তাদেরকে প্রযুক্তির পাশাপাশি বইয়ের দিকে ফেরাতেই কাজ করছে স্বয়ম্ভর পাবলিক লাইব্রেরি।
স্বয়ম্ভর পাবলিক লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এনামুল হক জানান, স্থানীয় তরুণরা যাতে বিপথগামী না হয় সে লক্ষ্য নিয়ে লাইব্রেরিটি গড়ে তোলা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে এ লাইব্রেরিতে তরুণদের পাশাপাশি শিশু ও বয়স্করাও আসছেন লাইব্রেরিতে। তিনি বলেন, আলমডাঙ্গার তরুণরা লাইব্রেরি থেকে জ্ঞান লাভ করে আগামীর বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেবে, এমনটাই প্রত্যাশা করেন আলমডাঙ্গাবাসী।