কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় কাক্সিক্ষত সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলাবাসী। ৩১ শয্যার এ হাসপাতালটি ২০২১ সালের ১৫ জুন ৫১ শয্যায় উত্তীর্ণ করা হয়। কাগজে-কলমে ৫১ শয্যা থাকলেও বাস্তবে জনবল রয়েছে ৩১ শয্যার। সূত্র জানায়, মেঘনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের পদ তেমন খালি না থাকলেও অন্যান্য ৩৩টি পদ শূন্য থাকায় খুঁড়িয়ে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। অভিযোগ রয়েছে চিকিৎসকরা নিয়মিত কর্মস্থলে উপস্থিত না হওয়ায় দালালের খপ্পরে পড়ে পাশর্^বর্তী সোনারগাঁ, গজারিয়া, দাউদকান্দি স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। একজন ভর্তি রোগী জানান, দিনের বেলায় এ হাসপাতালে ডাক্তার পাওয়া গেলেও রাতে কোনো ডাক্তার থাকেন না। একজন ডাক্তার ডিউটিরত থাকলেও মাঝে মধ্যেই তাকে পাওয়া যায় না। বিভিন্ন পদ শূন্য থাকায় এ হাসপাতালে হয় না কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা। হাসপাতালের ইনচার্জ ডাক্তার জালাল হোসেন বলেন, আগের চেয়ে বর্তমান পরিবেশ অনেক সুন্দর। একজন ডাক্তারের পদসহ নার্স, টেকনিশিয়ান, নৈশ্যপ্রহরী, ড্রাইভার, অফিস সহকারীর ৩৩টি পদ শূন্য রয়েছে। তারপরও আমরা নিয়মিত রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। জালাল হোসেন বলেন, ইতিমধ্যেই এক্স-রে, আলট্রাসোনোগ্রাফিসহ বিভিন্ন পরীক্ষা চালু হয়েছে।