শুক্রবার, ২০ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

কালবৈশাখীতে লণ্ডভণ্ড সহস্রাধিক ঘরবাড়ি, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

প্রতিদিন ডেস্ক

কালবৈশাখীতে লণ্ডভণ্ড সহস্রাধিক ঘরবাড়ি, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

দিনাজপুরে ঝড়ে বিধ্বস্ত বসতবাড়ি

নীলফামারী ও দিনাজপুরে কালবৈশাখীর ঝড়ে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও গাছপালা ভেঙে পড়েছে। নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর প্রবল বেগে ঝড় শুরু হলে কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে পড়ে। মাঠে থাকা পাকা ধান, ভুট্টা, মরিচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্তত ২০ স্থানে বিদ্যুতের তারে গাছ ভেঙে ও উপড়ে পড়ে। বিদ্যুৎ বিভাগ গাছ সরিয়ে ও ছেঁড়া তার মেরামত করে গতকাল ভোর ৬টা থেকে পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। নীলফামারী সদরের ইউএনও জেসমিন নাহার বলেন, ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে আনুমানিক ৫০০ কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। অসংখ্য গাছপালা উপড়ে ও ভেঙে পড়ে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ চলছে। এদিকে দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান, ঝড়ো হাওয়ায় খানসামার আংগারপাড়া ইউনিয়নের সুবর্ণখুলী ওকড়াবাড়ী এলাকায় শতাধিক, ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের বালাডাঙ্গী, চকরামপুর, হোসেনপুর, চকসাকোয়া, সরহদ্দ, ভেড়ভেড়ী, টংগুয়া মাদারপীর গ্রামের তিন শতাধিক ও আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের শতাধিক বাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়। ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে মৌসুমি ফল আম, লিচু, কলা, ভুট্টা, ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রবল বাতাসে উড়ে গেছে ঘরের চালা। নষ্ট হয়েছে ঘরে রক্ষিত খাদ্যসামগ্রী। অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সঞ্চালনের তার ছিঁড়ে বিচ্ছিন্ন রয়েছে সংযোগ। রাস্তায় গাছ পড়ে বন্ধ আছে যান চলাচল। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বসবাস করছে খোলা আকাশের নিচে। বোরো ধানের ক্ষতি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। ঝড়ে খামারপাড়া ইউনিয়নের ডাঙাপাড়া পাঁচপীর ফাজিল মাদরাসার শ্রেণিকক্ষও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কেউ হতাহত হননি। খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় জানান, ঝড়ে আক্রান্ত ফসলের মধ্যে বোরো ধান ৪৫, পাট ২৫, সবজি ১০, আম ২৫, লিচু ৩৫ হেক্টর। এ ছাড়া ফসলের ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে মাঠে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন।

সর্বশেষ খবর