মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

বিড়ি শ্রমিকদের স্মারকলিপি

পাবনা প্রতিনিধি

বিড়ি শ্রমিকদের স্মারকলিপি

বাজেটে নিম্ন স্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধি, বিড়ির ওপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং সরেজমিন পরিদর্শন ব্যতিরেকে বিড়ি কারখানার লাইসেন্স প্রদান বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন বিড়ি শ্রমিকরা। গতকাল বেলা ১১টায় পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের সামনে পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানানো হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি হারিক হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সহসভাপতি নাজিম উদ্দিন প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘বিড়ির মূল প্রতিদ্বন্দ¦ী হলো নিম্ন স্তরের সিগারেট। বর্তমানে নিম্ন স্তরের সিগারেট বাজারের ৭৫ শতাংশ দখল করে আছে।

এসব নিম্ন স্তরের সিগারেটের সিংহভাগই বিদেশি কোম্পানির। প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে নিম্ন স্তরের ১০ শলাকা সিগারেটের মূল্যস্তর ৩৯ টাকা থেকে ৪০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা খুবই সামান্য। তাছাড়া সিগারেটে কোনো সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়নি। ফলে বিড়ির বাজার দখলকারী সিগারেট কোম্পানিগুলো একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ পাচ্ছে। এ বছর বাজেটে যদি নিম্ন স্তরের সিগারেটের মূল্য ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করা না হয় তবে দেশীয় বিড়ি শিল্পের অস্তিত্ব চিরতরে বিলীন হয়ে যাবে। নিম্ন স্তরের সিগারেটের ভোক্তা বেশি থাকা সত্ত্বেও শুল্ক বৃদ্ধি না করলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব  বঞ্চিত হবে। বক্তারা আরও বলেন, বিড়ি শতভাগ দেশীয় প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প। অন্যদিকে সিগারেটের সবকিছু বিদেশ থেকে আমদাদিকৃত ও প্রযুক্তিনির্ভর। বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি এ দেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। সিগারেটে অগ্রিম আয়কর ৩ শতাংশ হলেও বিড়িতে অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ। এই বৈষম্যমূলক অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে। একই সঙ্গে সরেজমিন পরিদর্শন ব্যতিরেকে অস্তিত্বহীন বিড়ি কারখানার লাইসেন্স প্রদান বন্ধ করতে হবে। দেশের বহু হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, নদী ভাঙনকবলিত জনগণ ও শারীরিক বিকলাঙ্গসহ সুবিধাবঞ্চিত শ্রমিকদের অন্ন সংস্থানের একমাত্র মাধ্যম এই বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করে এই শিল্পকে রক্ষা করতে হবে। না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।

 

সর্বশেষ খবর