মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ছড়াছড়ি

মো. রফিকুল আলম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ছড়াছড়ি

সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সরকারি হাসপাতালের পাশে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। আর জেলাজুড়ে বেসরকারি ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসাসেবার নামে বাণিজ্য চলছে। এতে রোগীরা প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকারি স্বাস্থ্যনীতির তোয়াক্কা না করে এসব প্রতিষ্ঠান চিকিৎসার নামে রোগীদের জীবন বিপন্ন করে তুলছে। সরকারি হাসপাতালের অধিকাংশ চিকিৎসক কোনো না কোনো ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকায় অনিয়মের মধ্যেই ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো অবাধে কার্যক্রম চালাচ্ছে। জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় শতাধিক বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরে মাত্র ২০টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নবায়ন করেছে। চাহিদামতো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না দিয়ে আবেদন সম্পন্ন করায় সিভিল সার্জনকে আরও ১৮ প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর বাইরে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম চলছে অবৈধভাবে। অভিযোগ রয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বেশির ভাগ বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা প্রদানে মানা হচ্ছে না সরকারি নীতিমালা। বালাই নেই সেবার মান বা নীতিনৈতিকতার। বিভিন্ন তথ্যসূত্রে জানা গেছে, নিবন্ধিত প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ছাড়াও বেশ কিছু অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাজুড়ে। এদের বেশির ভাগই নিয়মনীতির কোনো তোয়াক্কা না করে চালাচ্ছে ব্যবসা। এর জন্য চিকিৎসকদের সরাসরি প্রশ্রয়, সহযোগিতা ও তদবির বিভিন্ন অনিয়মকে আরও ফুলেফেঁপে উঠতে সহায়তা করছে। ক্ষেত্রবিশেষে কর্তৃপক্ষ জোরালো কোনো পদক্ষেপ নিতে গেলে চিকিৎসকদের ভিতর থেকেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাধার সৃষ্টি করা হয় এমন অভিযোগও রয়েছে। জানা গেছে, বেসরকারি ক্লিনিকের নিবন্ধন পেতে প্রয়োজনীয় ভৌত সুবিধা, সার্বক্ষণিক চিকিৎসক, ডিপ্লোমা নার্স, ওয়ার্ডবয়, আয়া, ক্লি¬নারসহ প্রয়োজনীয় জনবল, যন্ত্রপাতি, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ থাকা আবশ্যক। সূত্রমতে, ১০ বেডের একটি ক্লিনিকের অনুমোদনের ক্ষেত্রে শুধু রোগীর ওয়ার্ডের জন্য প্রতি বেডে ৮০ বর্গফুট করে মোট ৮০০ বর্গফুট জায়গা লাগবে। সেই সঙ্গে ওটি রুম, পোস্ট ওপারেটিভ রুম, ওয়াশ রুম, ইনস্ট্রুমেন্ট রুম, লেবার রুম, ডক্টরস ডিউটি রুম, নার্সেস ডিউটি রুম থাকতে হবে।

সর্বশেষ খবর