রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

হবিগঞ্জের নদী-ছড়া থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের নদী-ছড়া থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার খোয়াইসহ বিভিন্ন নদ-নদী ও পাহাড়ি ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। এতে একদিকে যেমন সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব অন্যদিকে হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি। স্থানীয়দের অভিযোগ দিনের পর দিন ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলেও প্রশাসন কর্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। প্রশাসন বলছে, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের কোনো ছাড় নেই। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর খোয়াই নদীতে ছয়টি বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৭ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। ছয়টি মহাল ইজারা দেওয়া হলেও অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা আরও অন্তত এক ডজন স্থান থেকে প্রতিনিয়ত বালু তুলছেন। চুনারুঘাট থেকে শুরু করে শায়েস্তাগঞ্জ ও হবিগঞ্জ শহরের আশপাশে শতাধিক বালুর স্পট রয়েছে। সেই সব স্পট থেকেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও বালু উত্তোলনের কারণে ছড়া পরিণত হয়েছে বিশাল পুকুরে। ভেঙে পড়ছে ফসলি জমিসহ টিলা। অবৈধ বালু তোলার কারণে হুমকিতে রয়েছে কয়েকটি ব্রিজ। বালু বহনের জন্য ট্রাক্টর ব্যবহার করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাস্তাঘাট ও নদ নদীর পাড়। স্থানীয়দের দাবি দ্রুত যেন এ বিষয়ে প্রশাসন পদক্ষেপ নেয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বাপা হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জুল সোহেল বলেন, প্রকৃতি অমূল্য সম্পদ। প্রকৃতিকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। যারা অবৈধ ও নিয়ম বহির্ভূতভাবে এসব কর্মকান্ড চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। খবর পাওয়া মাত্র অভিযান চালানো হচ্ছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, হবিগঞ্জ থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ের অন্যতম খাত বালু। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে প্রশাসন তৎপর। তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত উপজেলা ও জেলা প্রশাসন অভিযান চালাচ্ছে। যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করবে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

সর্বশেষ খবর