রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

কলা চাষে ঝুঁকছেন বগুড়ার কৃষক

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

কলা চাষে ঝুঁকছেন বগুড়ার কৃষক

বগুড়ার মোকামতলায় কলার হাট -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কলা চাষে ঝুঁকেছেন বগুড়া কৃষকরা। কোনো কোনো কৃষক ধানের বদলে কলা চাষ করছেন। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান জানান, চলতি বছর কৃষকরা কলাচাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর কলার ভালো ফলন হয়েছে। সারা বছরই কলার চাষ হয়। চলতি মৌসুমে জেলায় ১ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে প্রায় ১৯ টন ফলন ধরা হয়েছে। সেই হিসাবে শুধু বগুড়ায় ফলন হবে ২০ হাজার ৯০০ টন কলা। জেলায় ভালো ফলন পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। পুন্ড্রনগরখ্যাত বগুড়া জেলার মাটি বেলে-দোঁআশ হওয়ায় এ অঞ্চল কলাচাষের জন্য খুবই উপযোগী। পুরো জেলায় কলার বাম্পার ফলন হয়। এর মধ্যে শিবগঞ্জ এবং গাবতলী উপজেলা কলাচাষের জন্য বিখ্যাত। জেলার মোকামতলা কলার হাটের সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। বগুড়ায় বিভিন্ন ধরনের কলাচাষ হয়। এর মধ্যে অনুপম, সাগর, সবরি, বিচিকলা, চিনিচাম্পা বিখ্যাত। মহাস্থানগড় এলাকার কলাচাষি সুমন জানান, ১২-১৩ মাসের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। পরিপক্ব কলার কাঁদি বিক্রি করা হয়। পরিমাণ অনুযায়ী ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয় কাঁদি। সেই কাঁদি পাইকাররা বিভিন্ন হাটে বিক্রি করেন। সারিয়াকান্দি উপজেলার জোড়গাছা গ্রামের আলতাফ আলীর ছেলে ছরোয়ার হোসেন জানান, বাজারে ভালো দাম দেখে ২০ শতাংশ জমিতে কলাচাষ করেছেন। বৈশাখ মাসে তিনি তার জমিতে কলাগাছ রোপণ করেছেন। এখন তার কলাগাছে মোচা আসা শুরু করেছে। বগুড়া জেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, বাংলাদেশে প্রায় ৪০-৫০ জাতের কলার চাষ হয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময়ে কলার চারা রোপণ করা হয়। আশ্বিন থেকে কার্তিক, মাঘ থেকে ফালগুন এবং চৈত্র থেকে বৈশাখ-এ তিন সময়ে কলার চারা রোপণ করা যায়। তবে আশ্বিন-কর্তিক মাসে রোপণ করা কলাগাছে বেশি ফলন পাওয়া যায়।

সর্বশেষ খবর