শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত শিশু রোগী। প্রতিদিন ৬০-৭০ জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত ২৪ ঘণ্টায় নানা রোগে আক্রান্ত ২৩৫ শিশু আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল। এর মধ্যে ৬২ জন ডায়রিয়ায় ও ৩৫ জন নিউমোনিয়া আক্রান্ত। অন্য শিশুরা ঠান্ডাজনিত সমস্যায় ভুগছে। সদর হাসপাতালে ৪৫ শয্যার বিপরীতে কয়েকগুণ রোগী বেড়ে যাওয়ায় শয্যা সংকটে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিশু ও তাদের স্বজনরা। একেক শয্যায় ৩-৪ জন করে শিশু রাখতে বাধ্য হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনকি ওই শয্যায় রোগীর মায়েরাও থাকছেন। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা লোকজন। বাধ্য হয়ে কেউ কেউ ওয়ার্ডের বারান্দা কিংবা মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সদর উপজেলার বড় খোঁচাবাড়ি এলাকার রফিকুল ইসলাম জানান, তার শিশু সন্তানের হঠাৎ বমি, সর্দি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। দুই দিন ধরে এখানে আছেন। হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা অনেক। তিনি শয্যা (বিছানা) না পেয়ে অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে মেঝেতে রয়েছেন। তার মতো অনেকেই হাসপাতালের ফ্লোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সালান্দর এলাকা থেকে দুই শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে আছেন মা সুলতানা বেগম। তিনি বলেন, মেয়েটার বুকে কফ জমে গিয়েছিল তাই হাসপাতালে ভর্তি হই। পরে ছেলের পাতলা পায়খানা শুরু হয়। দুই সন্তান নিয়ে এখন হাসপাতালে আছি। ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আবু মো. রাজীব-উল-দোজা (তূর্য) বলেন, ঠান্ডা বাড়ায় হাসপাতালে শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সবাইকে সাধ্যমতো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখন মায়েদের একটু সচেতন হতে হবে। বাচ্চার যেন ঠান্ডা না লাগে সেদিকে নজর রাখতে হবে।