বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বেশি দামে সার বিক্রি, বিপাকে কৃষক

মো. শামীম কাদির, জয়পুরহাট

বেশি দামে সার বিক্রি, বিপাকে কৃষক

দেশে আলুর জন্য বিখ্যাত জয়পুরহাটে এবারও আলুর ব্যাপক আবাদ হচ্ছে। এ জন্য প্রয়োজন অতিরিক্ত সারের। সরকার নির্র্ধারিত দামে ইউরিয়া সার পাচ্ছেন না কৃষকরা। ৫০ কেজির এক বস্তা ইউরিয়া সারের দাম ১ হাজার ১০০ টাকা হলেও বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায়। আলু খেতে ব্যবহারের প্রয়োজনে বিক্রয় রসিদ ছাড়াই বেশি দামে এই সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। কৃষকদের অভিযোগ, ন্যায্যমূল্য তো দূরের কথা টাকা বেশি দিয়েও চাহিদা মতো ইউরিয়া সার মিলছে না। এ ক্ষেত্রে বিক্রির রসিদ চাইতে গেলে ব্যবসায়ীরা সারই বিক্রি করতে চাচ্ছেন না। জেলা সদরসহ ক্ষেতলাল, কালাই ও আক্কেলপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে বেশি দামে সার বিক্রির এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।  জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবার আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৮ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে। এরই মধ্যে প্রায় নব্বই ভাগ জমিতে আলু রোপণের কাজ শেষ করে কৃষকরা এখন আলু খেত নিড়ানি দিয়ে সার প্রয়োগ করে বাঁধাই এর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ সময় কৃষকদের ইউরিয়া সারের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কৃষকদের অভিযোগ, বাজারে কৃত্রিম সংকটের অজুহাত তুলে ব্যবসায়ীরা প্রতি বস্তা ইউরিয়া সার বিক্রি করছেন ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায়। অথচ সরকার নির্ধারিত ৫০ কেজির এক বস্তা ইউরিয়া সারের ডিলারদের বিক্রি করার কথা ১ হাজার ১০০ টাকায়। কৃষকরা জানান, আলু রোপণের সময় ৭৫০ টাকার এক বস্তা এমওপি সার তাদের কিনতে হয়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। কৃষক পর্যায়ে পটাশ সারের চাহিদা কমে যাওয়ায় এখন তা স্বাভাবিক দামে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে ইউরিয়া সারের চাহিদা বেশি হওয়ায় খুচরা এবং অনুমোদিত ডিলাররা সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রি করছেন না। বস্তা প্রতি দেড় থেকে দুই’শ টাকা বেশি নিয়ে তারা ইউরিয়া সার বিক্রি করছেন।  কৃষকরা জানান, বেশি দামে সার বিক্রি করলেও তাদের বিক্রির রসিদ দেওয়া হয় না। রসিদ চাইলে সার দিতে চায় না। এজন্য বাধ্য হয়ে তাদের বেশি দামে সার কিনতে হয়। সদর উপজেলার হানাইল গ্রামের কৃষক ফরিদ আলী জানান, প্রায় ১৫ দিন আগে ৪ বিঘা জমিতে আলু রোপণ শেষ করে বর্তমানে আলু খেত বাঁধাইয়ের কাজ শুরু করেছেন। তিনি প্রতি বস্তা ইউরিয়া সার কিনেছেন ১ হাজার ২০০ টাকা দিয়ে। জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার ভাশিলা গ্রামের কৃষক আহম্মেদ আলী জানান, এবার তিনি ২০ বিঘা জমিতে আলু রোপণ করেছেন। ১ হাজার ২৫০ টাকা দিয়ে সার কিনে নিড়ানি দিয়ে এখন আলু খেত বাঁধাই করছেন। তিনি অভিযোগ করেন, সারের দাম বেশি নেওয়ায় বিষয়টি কৃষি বিভাগে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। সার কেনার পর রসিদ চেয়েও তিনি পাননি। কালাই উপজেলার পশ্চিম কুজাইল গ্রামের কৃষক আলী আহম্মেদ বলেন, ‘দুদিন হয়রানির পর তৃতীয় দিন লাইন ধরে মোলামগাড়িহাট থেকে তিনি বেশি দাম দিয়ে ইউরিয়া সার সংগ্রহ করেছেন।

 

সর্বশেষ খবর