রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন লাকসাম বেলতলি বধ্যভূমি

লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নির্মম গণহত্যার কালের সাক্ষী হয়ে আছে লাকসাম বেলতলি বধ্যভূমি। মুক্তিযুদ্ধে সারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্মৃতিচিহ্নের মধ্যে এ বধ্যভূমি একটি। হানাদার বাহিনী ১০ হাজারেরও বেশি নিরীহ মানুষকে হত্যা করে এখানে মাটিচাপা দেয়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এখানে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হলেও প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেটি অবহেলিত। বেলতলি বধ্যভূমিতে চালানো গণহত্যা ছিল হৃদয়স্পর্শী। এ স্থান ঘিরে বৃহত্তর লাকসামের মানুষের মধ্যে ছিল অজানা আতঙ্ক। স্থানীয়দের কেউ কেউ এখানে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতা করেছিল। আবার কেউ তাদের এলাকা ছাড়া করার দৃঢ় প্রত্যয়ে ঐক্যবদ্ধ ছিল। তাদের প্রতিরোধ করতে বৃহত্তর লাকসামে চারটি সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয়। এ বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন সুবেদার আবদুল জলিল, ক্যাপ্টেন মাহবুব, ব্রিগেডিয়ার দিদারুল আলম, মেজর এনাম আহমেদ এবং ফ্লাইট সার্জন ছিদ্দিকুর রহমান।

ঐক্যবদ্ধ জনতার দুর্বার প্রতিরোধে সফলতা আসতে শুরু করে। ধীরে ধীরে বৃহত্তর লাকসামের বিভিন্ন এলাকা হানাদারমুক্ত হতে থাকে। ৮ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী লাকসামে অবস্থানরত দখলদার পাক হানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণ শুরু করে। গুরুত্বপূর্ণ এ স্থানটি যথাযথ সংরক্ষণ করা সময়ের দাবি।

 

সর্বশেষ খবর