চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে টাকা দিলে তবেই মিলছে কাক্সিক্ষত চিকিৎসাসেবা। টাকা না দিলে নানা অজুহাতে সেবাদানে কালক্ষেপণ করা হয় বলে এমন অভিযোগ রয়েছে। নামধারী স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। অভিযোগ আছে, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে এলে শুরুতেই রোগীর স্বজনদের দামদর করতে হয় কথিত স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে। দামদর ঠিক হলে তবেই শুরু হয় চিকিৎসা। এ নিয়মে বাদ যায় না অসহায়, প্রতিবন্ধী ও দরিদ্র রোগীরাও। সম্প্রতি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার একাধিক রোগী ও স্বজন জানান, কয়েকদিন আগে এক কিশোরী বিষপান করলে পরিবারের সদস্যরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। দুজন স্বেচ্ছাসেবক এসে পাকস্থলি ওয়াশ বাবদ নল কিনতে ১ হাজার ৫০০ টাকা দাবি করেন। ৫০০ টাকা দিতে চাইলে অসম্মতি জানান তারা। পরে কিশোরীর অবস্থা খারাপ দেখে পরিবারের সদস্যরা সেচ্ছাসেবকদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে বাধ্য হন। এরপর পাকস্থলি ওয়াশের কার্যক্রম শুরু হয়। সড়ক দুর্ঘটনায় সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তির বাম হাত ভেঙে যায়। সদর হাসপাতারের জরুরি বিভাগে ব্যান্ডেজের জন্য চাওয়া হয় ৮০০ টাকা। অনেক কাকুতি-মিনতির পর ৪০০ টাকার বিনিময়ে কাজ শুরু করেন স্বেচ্ছাসেবকরা। বিএমএ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি ডা. মার্টিন হীরক চৌধুরী বলেন, নামধারী স্বেচ্ছাসেবকদের ছাঁটাই করার জন্য হাসপাতালের সভায় একাধিকবার বলা হয়েছে। হাসপাতালের সুন্দর পরিবেশের জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান বলেন, সমস্যার বিষয়ে হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ককে বলা হয়েছে।