বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাহাড়ে পতিত জমিতে বিজিবির কৃষিবিপ্লব

মো. জহুরুল আলম, খাগড়াছড়ি

পাহাড়ে পতিত জমিতে বিজিবির কৃষিবিপ্লব

দেশ ও  সীমান্ত  রক্ষার পাশাপাশি পাহাড়ে অনাবাদি পতিত জমিতে নানা ধরনের কৃষির উৎপাদনে মাঠে  নেমেছে বিজিবি সদস্যরা। স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে কৃষিবিপ্লবে প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনায় খাগড়াছড়ির রামগড় ৪৩ বিজিবির দুর্গম ১৫টি বিওপি ও বিশেষ ক্যাম্পে শুরু হয়েছে স্বতঃস্ফূর্ত কৃষিবিপ্লব। ডিউটি  শেষে পতিত জমিতে নিজ উদোগে ফসল ফলাচ্ছে বিজিবি সদস্যরা। যা নিজেদের চহিদা মিটিয়ে স্থানীয়দের মধ্যেও বিতরণ করা হচ্ছে। দায়িত্ব, সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি পতিত জমিতে করছেন কৃষির আবাদ। ভারত সীমান্ত ঘেঁষা খাগড়াছড়ির রামগড়ে সীমান্তের দায়িত্বে থাকা ৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ানের সদস্যদের চলছে এই কৃষি কর্মকা ।  ৪৫ কি. মি. সীমান্ত জুড়ে ১৫টি বিওপিসহ ব্যাটালিয়ন সদর দফতরের পতিত জমিতে প্রতিনিয়ত নিজ উদ্যোগে উৎপাদন করছেন বিভিন্ন রকমের শাকসবজি। এতে রয়েছে লাউ, বেগুন, মূলা, বরবটি, সিমসহ নানা ধরনের শাকসবজি।  সঙ্গে চলছে হাঁস-মুরগি গরু-ছাগল পালন ও মৎস্য চাষ। এতে নিজেদের প্রতিদিনের খাদ্যের চাহিদা  মেটাচ্ছেন নিজেরাই। বর্তমানে পাহাড়ের অনাবাদি জমিগুলো সবুজে ভরে গেছে। প্রতিদিন বিজিবি সদস্যরা তাদের লাগানো শাকসবজি নিয়মিত পরিচর্যায় মেতে উঠেছে। এলাকার লোকজন এসব বিজিবি সদস্যদের কৃষি র্কমকান্ডের তৎপরতা দেখে নিজেরাও অনুপ্রাণিত হয়ে অনাবাদি জমিতে শাকসবজি উৎপাদনে নেমেছে। দেশে যেন খাদ্য ঘাটতি না হয় । সে জন্য এক ইঞ্চি মাটিও অনাবাদি থাকবে না, প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা মেনে বিজিবি মহাপরিচালকের দিক নির্দেশনায় ৪৩ বিজিবি রামগড় ব্যাটালিয়নের দুর্গম সীমান্তের প্রতিটি বিওপি ও ক্যাম্পে চলছে কৃষির আবাদ। ডিউটির পাশাপাশি অবসরে প্রত্যেক বিজিবি সদস্য সময় দিচ্ছেন কৃষি কাজে। এতে করে টাটকা শাক-সবজি মিলছে ব্যাটালিয়ন সদর দফতর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত এলাকায় থাকা বিজিবি সদস্যদের কাছে। শুধু শাক-সবজির চাষাবাদ নয়, বিজিবি ও কৃষি প্রকল্পের আওতায় মৎস্য চাষ, হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল পালন করা হচ্ছে। পাশাপাশি কমলা, মাল্টা, পেঁপেসহ ফলজ বাগানও গড়ে উঠছে প্রত্যেকটি বিজিবি ক্যাম্পে। রামগড় ৪৩ বিজিবির অধিনায়ক   লে. কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান জানান, দেশে খাদ্যের চাহিদার জোগান দিতে বিজিবি এ জাতীয় কর্মকা  অব্যাহত রাখবে। তিনি আরও জানান, শুধু রামগড়ে নয়, বিজিবির প্রতিটি ইউনিটে এ ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের খাদ্যঘাটতি কিছুটা হলেও কমে আসবে এ প্রত্যাশা করেন।

সর্বশেষ খবর