শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

আসামিদের হুমকিতে শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ

পিরোজপুর প্রতিনিধি

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়। পরে দায়ের করা মামলার আসামিদের হুমকিতে ওই শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুই দিন আগে কাউখালী থানায় মামলার পর থেকে হুমকির মুখে ওই শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। ধর্ষণের অভিযোগে দুই আগে ওই কিশোরীর নানি বাদী হয়ে কাউখালী থানায় স্থানীয় রিশাদ হোসেন নামের এক যুবককে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। রিশাদ হোসেন (২০) কাউখালী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কচুয়াকাঠি গ্রামের বাসিন্দা। ভুক্তভোগী কিশোরীর মামা জানান, ‘ধর্ষণের ঘটনাটি জানার পর আমরা রিশাদ হোসেনের বাবাকে জানাই। তিনি আমাদের মামলা না করার জন্য ভয়-ভীতি দেখান। এ ছাড়া রিশাদ হোসেনের চাচাতো ভাই মোবাইলে আমাকে হুমকি দেন। মামলা করার পর রিশাদ আমাকে ফোন করে দেখে নেওয়ার কথা বলেন। ভয়ে ও লোকলজ্জায় আমার ভাগনী বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।’ শিক্ষার্থীর পারিবারিক সদস্যরা জানান, মেয়েটির মা-বাবার বিচ্ছেদের পর সে নানির কাছে থাকে। দুই দিন ভোরে মেয়েটিকে ঘরে একা পেয়ে পাশের গ্রামের রিশাদ হোসেন ধর্ষণ করেন। এ সময় রিশাদ হোসেন এ ঘটনা কাউকে না জানাতে মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখান। ঘটনার কয়েক দিন পর মেয়েটি তার মামাকে এ ঘটনা জানায়। এরপর মেয়েটির নানি ও মামা রিশাদের মা-বাবাকে জানালে তারা ভয়ভীতি দেখান। কোনো প্রতিকার পায়নি।

না পেয়ে শনিবার দুপুরে মেয়েটির নানি বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় রিশাদ হোসেনকে আসামি করে মামলা করেন।

মেয়েটির নানি জানান, রিশাদ আমার ছেলের বন্ধু। সে আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে রিশাদ আমার ছেলের সঙ্গে আমাদের বাড়িতে ঘুমায়। ভোরে আমার ছেলে ও আমি কাজে চলে গেলে রিশাদ আমার নাতনিকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে এবং কাউকে না বলার জন্য ভয় দেখায়। কাউখালী থানার ওসি মো. জাকারিয়া জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। রবিবার পিরোজপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। আসামি রিশাদকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মেয়েটির স্বজনদের হুমকির লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর