নেত্রকোনার মদনে বরযাত্রা যাবে এমন সময় প্রায় এক সন্তানের জননী এসে হাজির পাপ্পু মিয়ার (২২) বাড়িতে। ওই নারীর দাবি পাপ্পু তার প্রেমিক। তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলে পাপ্পু নাকচ করায় নিজের পেটে ছুরি চালান তিনি। এ সময় বরবেশে থাকা পাপ্পু শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার বদলে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। স্থানীয়রা মনিকে উদ্ধার করে প্রথমে মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকালে।
তার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তিনি চট্টগ্রামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। কিন্তু একই উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের বাঁশরি গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে পাপ্পুর সঙ্গে মোবাইলে প্রেম হয়। পাপ্পু নিজএলাকায় ইলেকট্রনিক্স দোকানের ব্যবসা করেন। পাপ্পুর পরিবার সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী উপজেলার কেন্দুয়ার চিতুলিয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে দুলেনা আক্তারের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে। দুই পরিবারেই চলে বিয়ের আয়োজন। নতুন বউকে তুলে নিতে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বরযাত্রী নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু হরিষে বিষাদ ঘটলো বিয়ে বাড়িতে। প্রেমিক অন্যত্র বিয়ে করছে এমন খবরে বুধবার রাতের বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে নিজএলাকায় আসেন মনি আক্তার। এসে ঠিক বরযাত্রী রওনা হওয়ার মুহূর্তে পাপ্পুর বাড়িতে গিয়ে হাজির হন। তার সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এতে পাপ্পুর পরিবার ও পাপ্পু রাজি না হওয়ায় এক পর্যায়ে বিয়ে বাড়িতেই নিজের পেটে ছুরি চালিয়ে দেন মনি। ঘটনা দেখে বিয়ে ফেলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান পাপ্পু। মদন থানার ওসি তাওহীদুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই নারীর একটি ছেলে শিশু রয়েছে। তার সঙ্গে পাপ্পুর প্রেমের সম্পর্ক হয় বলে তিনি এ কাজ করেছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
