গাজীপুরে সড়কজুড়ে অবৈধ অটোরিকশা আর ইজিবাইকের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবাধে তৈরি হচ্ছে এসব গাড়ি। টঙ্গীর দেওড়া, মিলগেট, গাজীপুরা, কোনাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন শত শত গাড়ি তৈরি করে বাজারে ছাড়ছে। এসব অবৈধ গাড়ির চালকদের লাগে না ড্রাইভিং লাইসেন্স, লাগে না সিটি করপোরেশনের অনুমতি। যার ফলে ছোট ছোট শিশুরাও ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে এবং সড়কে যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং করে যানজট তৈরি করছে। সড়কে অন্যান্য গাড়ির চেয়ে অটোরিকশা আর ইজিবাইকের সংখ্যা বেশি। গাজীপুরে কয়েক লাখ অটোরিকশা ও ইজিবাইকের রয়েছে এর সঠিক পরিসংখ্যান কারও কাছে নেই। তবে এসব গাড়ি থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করায় অভিযোগ রয়েছে বেশ কয়েকটি চক্রের বিরুদ্ধে। আবার এই টাকার একাংশ পুলিশ ও দলীয় নেতা-কর্মীদের পকেটে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সড়ক মহাসড়ক জুড়ে অবৈধ অটোরিকশা আর ইজিবাইকের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী। অবৈধ গাড়ি তৈরির অসাধু মালিক ও চালকরা কোনো নিয়ম মানছেন না। পুলিশ ও দলীয় নেতাদের ম্যানেজ করে দেদার তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য এসব গাড়ির স্ট্যান্ড হলো টঙ্গী বাজার, স্টেশনরোড, চেরাগ আলী, কলেজগেট, হোসেন মার্কেট, এরশাদ নগর, তাড়গাছ, বড়বাড়ি, বোর্ডবাজার, মালেকের বাড়ি, চৌরাস্তা, জয়দেবপুর, শিববাড়ী, পূবাইল, মীরের বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় এখন অটোরিকশা আর ইজিবাইকের ছড়াছড়ি। সড়কে এসব গাড়ি চলাচলের ফলে মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। টঙ্গী স্টেশনরোড এলাকায় ইজিবাইক চালক ইরানের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, থানায় টাকা দিলে লাইসেন্স লাগে না।
আর নেতা-কর্মীদের জিপি দিলে সব ঠিক। এলাকাবাসী বলেছেন, গাজীপুরের লাখ লাখ অটোরিকশা আর ইজিবাইক মালিকদের কাছ থেকে সিটি কর্তৃক নিবন্ধন ফি নেওয়া হলে কোটি কোটি টাকা সিটি করপোরেশন ফান্ডে জমা হতো। সিটি উন্নয়নে এই কাজটি করা উচিত বলে আমি মনে করি। তবে এসব বন্ধ করতে চাইলে যন্ত্রাংশ আমদানি বন্ধ করতে হবে। এ ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃপক্ষ বলছেন, এসব গাড়ির গতি অন্যান্য গাড়ির গতির তুলনায় অনেক কম, ফলে রাস্তায় এসব অটোগাড়ি চললে এমনিতেই জ্যাম লাগে। আমরা প্রতিদিন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।