ভোলার চরফ্যাশনে অবৈধ ডেন্টাল ক্লিনিকের সংখ্যা বেড়েই চলছে। আকর্ষণীয় ব্যানার ও সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ডেন্টাল ক্লিনিক খুলে বসেছেন অনেকেই। দাঁতের চিকিৎসক সেজে অপচিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রায় অর্ধশত হাতুড়ে চিকিৎসক। এসব অপচিকিৎসায় মানুষ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারেন বলে জানিয়েছেন চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডেন্টাল সার্জন ডা. মো. নূরনবী। চরফ্যাশন উপজেলায় কতগুলো অবৈধ ডেন্টাল ক্লিনিক রয়েছে তার সঠিক হিসাব নেই জেলা সিভিল সার্জনের কাছে। তবে, তিনি জানিয়েছেন দ্রত সময়ের মধ্যে অবৈধ ডেন্টাল ক্লিনিকগুলোর তালিকা করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চরফ্যাশন পৌর শহরসহ ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রায় ৫০টি ডেন্টাল ক্লিনিক রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সরকারি অনুমোদন নেই। এগুলোতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কোনো যন্ত্রপাতি বা ল্যাবরেটরি নেই। নীতিমালা অনুযায়ী, ডেন্টাল ক্লিনিক পরিচালনা করতে হলে বিডিএস চিকিৎসক ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেকনিশিয়ান নিয়োগ, প্রয়োজনীয় রি-এজেন্ট, সিভিল সার্জন কার্যালয় ও স্বাস্থ্য বিভাগের বৈধ অনুমতিপত্র এবং ১ হাজার টাকার ট্রেজারি চালান জমা আবশ্যক। অথচ এর একটি শর্তও পূরণ করেনি এসব প্রতিষ্ঠান। চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডেন্টাল সার্জন ডা. মো. নূরনবী বলেন, ডেন্টাল ক্লিনিকে একজন এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসকের সঙ্গে একজন টেকনোলজিস্ট থাকতে হবে। এসব ডিগ্রিধারী চিকিৎসক ব্যতীত কেউ সার্জারি তো দূরের কথা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধও লিখতে পারবে না। এ হাসপাতালে ডেন্টাল সার্জন আমি একাই। মুখ ও দাঁতের সমস্যা নিয়ে আসা রোগীর চাপ থাকায় সবাইকে সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।