শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

ব্লাস্টে আক্রান্ত হাওরের বোরো খেত

সাইফউদ্দীন আহমেদ লেনিন, কিশোরগঞ্জ

ব্লাস্টে আক্রান্ত হাওরের বোরো খেত

কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকায় ব্লাস্ট রোগে বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ব্রি-২৮ জাতের ধানেই এ রোগ দেখা দিয়েছে বেশি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী এবার হাওর এলাকার ৫৮ হেক্টর জমির ধান এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। হাওর উপজেলা নিকলীর দামপাড়া কামালপুর গ্রামের কৃষক হারুন মিয়া জানান, কামালপুর মাদলের বন্দে চাষ করা এক একর জমির ধান ব্লাস্ট রোগে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। একই গ্রামের কামরুল ইসলাম জানান, বরুলিয়া বন্দে তার ৪০ শতাংশ জমির সুগন্ধী ধান নষ্ট হয়েছে। কৃষক আবদুল হেকিমের নষ্ট হয়েছে দুই একর জমির ধান। ছাতিরচর এলাকার কৃষক আবদুল মালেক জানান, তিনি সাত একর জমিতে ২৯ ও ৭৯ জাতের ধান চাষ করেছেন। এ রোগে (ব্লাস্ট) আক্রান্ত হয়ে তার বেশির ভাগ ধানই নষ্ট হয়ে গেছে। অষ্টগ্রাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের মেম্বার মইন উদ্দিনের দুই একর ১২ শতাংশ জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, হাওর উপজেলা ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, নিকলী ও তাড়াইল উপজেলার কিছু অংশে ব্লাস্ট রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। বেশি ক্ষতি হয়েছে ব্রি-২৮ জাতের ধানের। কৃষি বিভাগ জানায়, এ রোগে আক্রান্ত গাছের পাতায় ডিম্বাকৃতি থেকে গোলাকার সাদা রঙের দাগসহ গাঢ় বর্ণযুক্ত প্রান্তরেখা লক্ষ্য করা যায়। এ রোগে কান্ডের পর্ব এবং ধানের শীষও আক্রান্ত হয়। এতে কান্ড ভেঙে যায় এবং কচি চারা গাছ মরে যায়। কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবদুস সাত্তার জানান, ব্রি-২৮ জাতের ধান চাষ না করার জন্য আগেই কৃষকদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। এর পরও যারা এ জাত চাষ করেছেন, তারাই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। হাওর অঞ্চলে ব্লাস্ট রোগে ৫৮ হেক্টর জমির ধান আক্রান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি। আগামীতে ব্রি-২৮ জাতের ধান যেন একেবারেই চাষ করা না হয়, সেজন্য কৃষকদের সতর্ক করেছেন এ কৃষি কর্মকর্তা।

সর্বশেষ খবর