ভুট্টার জমিতে কোথাও কোথাও মোচায় ফুল আবার কিছু জমিতে ভুট্টা পাকা শুরু হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল জাতের ভিন্নতা ও রোপণের সময়কালের পার্থক্যের কারণে কোনো জমিতে ভুট্টার মোচা বের হচ্ছে আবার কোনো কোনো জমিতে পাক ধরায় ভুট্টা মাড়াইও শুরু হয়েছে। কিছু জমিতে আবার অনেক ছোট আকারের ভুট্টার গাছ রয়েছে। ধানের চেয়ে কম পরিশ্রম ও বেশি লাভের আশায় দিনাজপুরের কৃষকেরা ভুট্টা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারেও ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ভুট্টা চাষে নীরব বিপ্লব ঘটেছে। ফলে দিন দিন কমেছে ধানসহ রবি মৌসুমের বিভিন্ন সবজি চাষ। কৃষকরা এখন অনেক সচেতন। যে ফসলে বেশি লাভ এখন সেদিকেই কৃষকরা ঝুঁকে পড়ছে বলে জানায় কৃষি অফিস। ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ঘোড়াঘাট উপজেলায় চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ করে ১৯৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। যা থেকে ২১৪৫০ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। লাভজনক হওয়ায় এ ফসল চাষে উৎসাহিত করতে উপজেলা কৃষি দপ্তর থেকে ৩৫০জন কৃষককে বিনামূল্যে ২ কেজি করে ভুট্টার বীজ ও সার প্রণোদনা হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে। ঘোড়াঘাট উপজেলার বুলাকীপুর, পালশা, সিংড়া, ঘোড়াঘাট ইউপি ও পৌর এলাকার বিভিন্ন মাঠে দেখা যায়, ধানের পাশাপাশি অধিক পরিমাণ জমিতে ভুট্টার চাষ করা হয়েছে। ধানের চেয়ে কম পরিশ্রম ও লাভের আশায় কৃষকেরা ভুট্টা চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছেই। কৃষ্ণরামপুর গ্রামের ভুট্টা চাষি শাজাহান আলী ও গোলজার হোসেনসহ অনেকে জানান, গত বছর ভুট্টার ভালো দাম পাওয়ায় তারা এ বছরও ধানের চেয়ে অধিক জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুজ্জামান জানান, ভুট্টা চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকেরা এখন ধানের চেয়ে ভুট্টা চাষে বেশি আগ্রহী। কৃষি বিভাগ এ ব্যাপারে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আশানুরূপ ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।