মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

রংপুরে ধান কেটে আয় হবে ২০০ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরে ধান কেটে আয় হবে ২০০ কোটি টাকা

রংপুরের প্রকৃতিতে যত দূর চোখ যায় শুধু বোরো ধানের ম ম গন্ধ। এবার বিভাগের আট জেলায় কৃষি মৌসুমি শ্রমিক এবার বোরো মৌসুমে ধান কাটা-মাড়াই করে এক মাসে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আয় করবে। কয়েক মৌসুম থেকে কৃষি শ্রমের মূল্য পাঁচ-ছয় গুণ বৃদ্ধি হওয়ায় শ্রমিকরা বেজায় খুশি। বাজারে ধানের স্বাভাবিক দাম থাকায় কৃষকরাও শ্রমিকদের বেশি মূল্য দিতে বাধ্য হচ্ছেন। জানা গেছে, রংপুর বিভাগের আট জেলার চাষিরা ৮ লাখ হেক্টরের বেশি জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছেন। এ পরিমাণ জমি থেকে প্রায় ৩৫ লাখ মেট্রিক টনের বেশি ধান গোলায় তোলার আশা করা হচ্ছে। গত সপ্তাহ থেকে এ অঞ্চলে ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। মজুরি বেশি থাকায় কৃষি শ্রমিকরা রয়েছেন চাঙ্গাভাবে। তবে ধান কাটা-মাড়াই করতে কৃষি শ্রমিক পাওয়াই দুষ্কর হয়ে পড়েছে। দিন হাজিরায় ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। কৃষক হাবিবুর রহমান, আশরাফুল; সদরের পরশুরাম ইউনিয়নের আমিন, মনটু মিয়া; গঙ্গাচড়ার গান্নারপাড় এলাকার মিজানুর; নীলফামারীর জলঢাকার অলিয়ার মিয়াসহ কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাট-বাজারগুলোয় বিভিন্ন প্রজাতির বোরো ধান কেনাবেচা হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। কৃষকরা জানান, পাঁচ বছর আগেও এক একর জমির ধান কাটা-মাড়াই করতে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা লাগত। এক দোন জমির ধান কাটা-মাড়াই করে ঘরে তুলতে কৃষকদের খরচ হচ্ছে আড়াই হাজার টাকা। সে হিসাবে প্রতি একরে খরচ পড়ছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। অপরদিকে, দিন হাজিরায় যেসব শ্রমিক কাজ করতেন তাদেরও মজুরি বেড়েছে কয়েক গুণ। পাঁচ বছর আগে দেড় শ টাকায় যে শ্রমিক দিন হাজিরায় কাজ করতেন এবার তারা ৫০০ টাকার নিচে কাজ করছেন না। কোনো কোনো স্থানে তিন বেলা খাওয়াসহ এ হাজিরা পাচ্ছেন। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, রংপুরে প্রায় ১০ লাখ, নীলফামারীতে ৫ লাখ, লালমনিরহাটে ৪ লাখ, গাইবান্ধায় ৬ লাখ, কুড়িগ্রামে ৭ লাখ, দিনাজপুরে ১২ লাখ শ্রমিক রয়েছেন।

এরা শুধু আমন ও বোরো মৌসুমে ধানা কাটা-মাড়াইয়ের কাজ করেন। অন্য সময়ে এরা শহরে রিকশা, ভ্যান অথবা অন্য কোনো পেশা গ্রহণ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান ম ল জানান, এবার বোরোর ভালো ফলন হয়েছে।

 

 

সর্বশেষ খবর