শিরোনাম
শনিবার, ৬ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

সংস্কার হয়নি চার খাল

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

সংস্কার হয়নি চার খাল

পানিশূন্য নওগাঁর ধামইরহাটের টুটিকাটা খাল -বাংলাদেশ প্রতিদিন

সংস্কার হয়নি নওগাঁর চার খাল। ভোগান্তি কমেনি এমনকি কৃষকের কোনো উপকারে আসছে না। জেলার ধামইরহাটে চারটি খাল সংস্কার না করায় কৃষকের ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে। এসব খাল আংশিক খনন করা হলেও বাকি অংশ খনন না করায় কৃষক কাক্সিক্ষত সুবিধা ভোগ করতে পারছে না। বর্ষার আগে চারটি খালের অখননকৃত অংশ খননের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন কৃষক। জানা যায়, উপজেলার চারটি খালকে পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের আওতায় এবং এলজিইডির মাধ্যমে টেকসহ ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খাল পুনর্খনন করা হয়। খালগুলো হলো- টুটিকাটা খাল, মঙ্গল খাল, ঘুকসি খাল এবং লোদিপুর-ধনঞ্জয়নগর খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেড। খালের দুই পাড়ের শত শত কৃষক এসব সমবায় সমিতির সদস্য। খালগুলো ১৫-২০ বছর আগে খনন করা হয়। খননের কয়েক বছরের মধ্যে খালে পলি জমে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে খালে পানি সংরক্ষণ করে রবি মৌসুমে সেই পানি ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে খালের দুই পাড়ের কৃষক কাক্সিক্ষত সুবিধা ভোগ করতে পারছে না। ধামইরহাট মূলত বরেন্দ্র অঞ্চল। বরেন্দ্র অঞ্চলে খাল বিলের সংখ্যা কম। তার উপরন্তু দীর্ঘদিন ধরে এসব খালে পলি জমে ভরাট হওয়ার কারণে কৃষকদের ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এসব খাল পুনর্খনন করলে সারা বছর খালে পানি সংরক্ষিত থাকত। ফলে কৃষক সুবিধা মতো ফসলে সেচ দিতে পারত। এ ছাড়া এসব খালে মাছচাষ ও হাঁস পালন করা সম্ভব। চারটি খালের সমিতির মোট সদস্য সংখ্যা ১ হাজার ৫৭৬ জন। মঙ্গলখাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেডের সম্পাদক নুরুজ্জামান হোসেন বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মঙ্গলখালের পৌনে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ১ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪ কিলোমিটার পুনর্খনন করা হয়। খালের বাকি অংশ খনন না করায় কৃষক কাক্সিক্ষত সুবিধা ভোগ করতে পারছে না।  নওগাঁ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ বলেন, খালগুলো খনন করা হয়েছিল। পলি জমার কারণে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। যেসব খাল ভরাট হয়েছে সেগুলো পুনর্খননের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে গ্রেডিং পয়েন্ট অনুসারে খনন করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর