মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

১০ কিলোমিটারে ভোগান্তির শেষ নেই

পিরোজপুর প্রতিনিধি

১০ কিলোমিটারে ভোগান্তির শেষ নেই

খানাখন্দে ভরা ইন্দুরহাট-চাঁদকাঠি সড়ক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

পিরোজপুর জেলার সঙ্গে নেছারাবাদের ছয় ইউনিয়নের যোগাযোগের মাধ্যম ইন্দুরহাট-চাঁদকাঠি সড়কটি সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এলজিইডি নির্মিত ১৪ কিলোমিটার এই সড়কের ইন্দুরহাট ও চাঁদকাঠি প্রান্তে ২ কিলোমিটার করে ২০২১ ও ২০২২ সালে সংস্কার কাজ করা হয়। বাকি ১০ কিলোমিটার সংস্কারের অভাবে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।

স্থানীয়রা জানান, এ সড়কে চলাচল করলে ধুলাবালিতে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগে ভুগতে হয়। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত চলতে হয় দুর্ঘটনায় ভয় নিয়ে। রাস্তাটির এমন অবস্থা যে, অসুস্থ মানুষ নিয়ে চলাচল করা যায় না। যানবাহন মালিকদের দাবি, এ সড়কে চলাচল করা তাদের যানবাহন দুই দিন পর পরই মেরামত করতে হয়। যা আয় হয় তার বড় অংশই মেরামত কাজে ব্যয় হয়। পরিবারের খরচ মেটাতেও পারছেন না তারা। পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি ফেরিঘাট থেকে আলকিরহাট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার সড়ক এলজিইডি নাকি সওজের তা নিয়েও রয়েছে বিভ্রান্তি। এলজিইডি এ সড়কটি নির্মাণ ও সংস্কার করলেও স্বরূপকাঠি ফেরিঘাট থেকে শ্রীরামকাঠি পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার সওজ পিরোজপুরের সড়ক তালিকায় রয়েছে যা সম্প্রতি নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনও পেয়েছে। আবার স্বরূপকাঠি ফেরিঘাট এলাকা ইন্দুরহাট থেকে চাঁদকাঠি পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার এলজিইডি সড়ক নির্মাণের পর সংস্কার রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে এলজিইডি। এ বিষয়ে সওজ বিভাগের পিরোজপুরের এসডিই ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ফেরিঘাট থেকে কিছু অংশ এলজিইডির যা সরেজমিনে না গিয়ে বোঝানো যাবে না। মন্ত্রণালয় অনুমোদনের জন্য ১৫ কিলোমিটার দেখানোর কারণ তিনি এখন জানাতে পারবেন না। রাস্তাটি সংস্কারের বিষয়ে নেছারাবাদ এলজিইডি প্রকৌশলী তৌফিক আজিজ জানান, ইন্দুরহাট-চাঁদকাঠি সড়কটি প্রশস্ত করার জন্য ইতোমধ্যে প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আশা করি শিগগিরই প্রকল্পটি অনুমোদন পাবে। ইন্দুরহাট ফেরিঘাট থেকে আলকিরহাট হয়ে চাঁদকাঠি পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার এলজিইডি সড়ক। ফেরিঘাট থেকে আলকিরহাট পর্যন্ত সওজ নয়, এলজিইডি রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার করে।

সর্বশেষ খবর