ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নাথকুন্ডু গ্রামের কাটার খাল এখন কৃষকদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। খালের মুখ বন্ধ করে দিয়ে ওই গ্রামে সহোদর লিয়াকত আলী খাঁ ও আলাল খাঁ মাছ চাষ করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছন ভুক্তভোগী গ্রামবাসী। খালটি উন্মুক্ত করে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ তৈরি করতে জেলা প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা। জানা গেছে, সদর উপজেলার সাধুহাটি বিএডিসি ফার্ম, সাধুহাটি, নাথকুন্ডু, মামুনশিয়া, রাঙ্গিয়ারপোতা, মাগুরাপাড়া, পোতাহাটি, বংকিরা, জিবনাসহ প্রায় ১০টি গ্রামের পানি প্রবাহ হয় কাটার খাল দিয়ে। হঠাৎ ওই খালের ওপর নজর পড়ে নাথকুন্ডু গ্রামের প্রভাবশালী লিয়াকত আলী খাঁ ও আলাল খাঁ নামের দুই ভাইয়ের। তারা খালের মুখ বন্ধ করে পুকুর খনন করে মাছ চাষ শুরু করে। এতে খালের পানিপ্রবাহ একেবারেই বন্ধ হয়ে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকরা তাদের ফসলি জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না। নাথকুন্ডু গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম, আবদুল মান্না মোল্লা ও বংকিরা গ্রামের সবুজ বিশ্বাস জানান, খালের মুখ বন্ধ করে রাখার কারণে ১০ গ্রামের কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই জমিতে পানি জমে থাকছে। ফলে আমন মৌসুমের আবাদ হুমকির মুখে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে সাধুহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দীন খালের মুখ বন্ধ করার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। খালের মুখ খুলে না দিলে কৃষকরা চরমভাবে বিপদগ্রস্ত হবেন। এ রকম অবস্থা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বানিয়াকান্দর খালেও। এলাকার প্রভাবশালীরা খালের মধ্যে পুকুর কেটে খালের পানি প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করেছে। এ কারণে বর্তমানে এটি মরা খালে রূপান্তিত হয়েছে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিন জানান, খালের মুখ বন্ধ করার বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি সরেজমিন গিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
ধানের বীজ ৫২ টাকা করার দাবি জানান। একই সঙ্গে ধানে বীজের দাম আগেই নির্ধারণের দাবিও জানান।