ঈদুল আজহার পর বগুড়ায় হঠাৎ বেড়েছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী। গত এক সপ্তাহে জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দুই শতাধিক লোক চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, অনিয়মিত ও চর্বিযুক্ত খাবার এবং প্রচ- গরমের কারণে শিশু-বৃদ্ধরা ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
নন্দীগ্রাম উপজেলা ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে। অনেকে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬৮ রোগী ভর্তি রয়েছেন। এ ছাড়া বহির্বিভাগে প্রতিদিন অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এসব রোগীর বেশির ভাগই ঈদ পরবর্তী সময়ে আক্রান্ত হয়েছে। গতকাল দুপুরে নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, পর্যাপ্ত বেড না থাকায় মেঝেতে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বহির্বিভাগে ডায়রিয়ার সমস্যায় সেবাগ্রহণ করেছেন ১২০-১৫০ জন। জরুরি বিভাগেও রোগীর ভিড় দেখা গেছে। ভর্তি হওয়া রোগী জুলকার নাঈম বলেন, বুধবার বিকাল থেকে বাথরুম হচ্ছিল। রাতে বাথরুম ও সঙ্গে বমি হতে থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হই। চিকিৎসকরা বলছেন, ঈদের পর থেকে রোগী বেড়েই চলেছে। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এভাবে রোগী বাড়তে থাকলে ডায়রিয়া স্যালাইন সংকট হতে পারে।
নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ইকবাল মাহমুদ বলেন, গরম ও ঈদ পরবর্তী সাধারণ মানুষের অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়ার কারণে ডায়রিয়ার আক্রান্তের হার বেড়েছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া, মফিজপাগলার মোড়, কলোনী এলাকার ক্লিনিকগুলোতে আরও ১০০ জন ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বেসরকারি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বলছেন, ঈদের পর থেকে ডায়রিয়ার চাপ বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে বেশকিছু রোগী সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়েছেন। আবার নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, অনিয়মিত খাবার গ্রহণের ফলে স্বাভাবিকভাবে বগুড়ায় প্রতিদিন ৪০-৫০ জন ডায়রিয়া রোগী পাওয়া যায়। ঈদের পর পাওয়া যাচ্ছে ৬০-৬৫ জন করে।