নাটোরের গুরুদাসপুরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া নন্দকুঁজা নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রকাশ্যে বালু তোলা হচ্ছে। উপজেলার নাজিরপুর হাট এলাকায় ১৫ দিন ধরে এ বালু তোলা হচ্ছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিু বছরই নন্দকুঁজা নদীতে ড্রেজার বসিয়ে বালু তোলা হয়। এ কাজে চারজন শ্রমিক নিয়োগ করা আছে। ওই শ্রমিকদের দিয়ে বালু তোলা, সংরক্ষণ ও বিক্রি করানো হচ্ছে। অবৈধভাবে বালু তোলা অব্যাহত থাকায় নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, নাজিরপুর হাটের পূর্বপাশের বাঁশহাট সংলগ্ন নদীতে ড্রেজার বসানো হয়েছে। সেখান থেকে তোলা বালু পাইপের মাধ্যমে প্রস্তাবিত একটি ক্লিনিকের ফাঁকা স্থানে রাখা হচ্ছে। সেখান থেকেই বিক্রি করা হচ্ছে। বিএডিসির প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান বলেন, নদী থেকে বালু তোলার ফলে নদীভাঙনসহ নানামুখী সমস্যা দেখা দিতে পারে। বালু তোলার কথা স্বীকার করে ব্যবসায়ী আবদুর রহিম বলেন, মাদরাসায় বালু বিক্রির জন্য আইয়ুব চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যানের ভাই নজরুল ইসলাম ও ইউপি সদস্য মো. আলম তার এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছেন। বালু তোলায় ব্যবহার করা ড্রেজার মেশিনটি তার। সব ঠিক রেখেই তারা বালু তুলছেন। চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীর ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, মূলত একটি হাফিজিয়া মাদরাসায় বালু বিক্রির কথা বলে আবদুর রহিম নদীতে ড্রেজার বসিয়েছেন। বালু ব্যবসায় তিনি যুক্ত নন। গুরুদাসপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান শাকিল বলেন, বালু তোলায় ব্যবহার করা পাইপ জব্দ করা হয়েছে। গুরুদাসপুরের ইউএনও শ্রাবণী রায় বলেন, বালু তুলতে নিষেধ করা হয়েছে।