জনগণের যাতায়াতের সুবিধার্থে এবং গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে মানিকগঞ্জের ঘিওরে কালীগঙ্গা নদীর ওপরে ৩৬৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় জনগণের কাজে আসছে না ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা সেতুটি। দুই পাশের সংযোগ সড়কের অভাবে আড়াই বছর ধরে সেতুটি অব্যবহৃত পড়ে আছে। সেতুটি ব্যবহারযোগ্য হলে আশপাশের প্রায় ৫০টি গ্রামের কৃষক ও সাধারণ মানুষ উপকার পাবে। এখন এলাকার মানুষকে অনেক পথ ঘুরে জেলা শহরে যেতে হয়। উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘিওরের সিংজুরী ইউনিয়নের বৈকুণ্ঠপুরে কালীগঙ্গা নদীর ওপর ৩৬৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে ওই সেতুর দরপত্র আহ্বান করা হয় ২০১৮ সালে। ২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। এরপর সংযোগ সড়ক নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২৩ সালের ৯ মার্চ পর্যন্ত। প্রথমে সেতু নির্মাণ ব্যয় ৩০ কোটি টাকা ধার্য থাকলেও পরবর্তীতে সংযোগ সড়ক ও বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য ৫ কোটি বাড়ানো হয়। এরপর সেতু ও সংযোগ সড়কসহ যাবতীয় উন্নয়নের কাজ ব্যয় ধরা হয় ৩৫ কোটি ৬০ লাখ ৪৫৪ হাজার টাকা। সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের সময়ও বাড়ানো হয়। নির্মাণের আড়াই বছর পরও ব্যবহারের উপযোগী হয়নি সেতুটি। স্থানীয়রা জানান, ‘সেতুটি নির্মাণ দেখে ভেবেছিলাম, আমাদের দীর্ঘদিনের কষ্ট দূর হবে। কিন্তু দুই পাশের রাস্তা না থাকায় আমরা কেউ সেতুটি ব্যবহার করতে পারছি না। বর্ষাকালে আগের মতোই নৌকা ব্যবহার করতে হয়। তারা বলেন, দুই পাশে মাটি দিয়ে রাস্তাটি করা হলে সেতুটি ব্যবহার করা যাবে। সেতুটি ব্যবহারযোগ্য হলে আশপাশের প্রায় ৫০টি গ্রামের কৃষক ও সাধারণ মানুষ উপকার পাবে। সেতুটি ব্যবহারের উপযোগী না হওয়ায় এলাকার মানুষকে অনেক পথ ঘুরে জেলা শহরে যেতে হয়।’ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মাসুদ মিয়া জানান, সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজ করতে গিয়ে কয়েকবার জমির মালিকদের বাধার মুখে পড়ে কাজ বন্ধ করতে হয়েছে। এখন সংযোগ সড়কের জায়গা বুঝে পেলেই আমরা কাজ শুরু করব। এ কাজ করতে আমাদের সময় লাগবে ৪-৫ মাস। ঘিওর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, ভূমি অধিগ্রহণের জন্য প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই ভূমি জটিলতা কেটে যাবে এবং সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজ শুরু হবে। মানিকগঞ্জ রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর এল এ শাখার সিনিয়র সহকারী কমিশনার মামুনুর রশিদ জানান, সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য ৪.৯৬ শতাংশ ভূমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান আছে। ইতোমধ্যে ভূমি মালিকদের ৭ ধারায় নোটিস করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে খুব দ্রুত ভূমি মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
শিরোনাম
- ‘বিদেশিদের প্রেসক্রিপশনে এদেশের মানুষ চলতে চায় না’
- একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপিকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মাসুদের র্যালি
- ভালুকায় হেমন্তের কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত
- ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে
- চট্টগ্রামে অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে যত কারণ
- খালেদা জিয়ার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
- মাগুরায় ১৬ ক্লাবের অংশগ্রহণে জমজমাট ক্রিকেট আসর
- ফেনীতে পুলিশের ওপর হামলা, আহত ৩
- কুড়িগ্রামে নতুন নারী জেলা প্রশাসক
- এনসিপি’র মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সময়সীমা বাড়ানো হলো
- জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত
- ছাত্রদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ঢাবি অধ্যাপক আটক
- কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত
- আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা
- টাকার বস্তা নিয়ে হাসিনা তার আত্মীয়-স্বজনকে ভাগিয়ে দিয়েছে : এ্যানি
- ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
- বিচারকের ছেলে তাওসিফের মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক
- পরমাণু সাবমেরিন তৈরির ব্যাপারে সম্মত দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র
- গণভোটে আইন প্রণয়ন হয়ে যাবে না, সেজন্য সংসদ গঠিত হতে হবে : সালাহউদ্দিন