নাটোরের কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণ কুমার দাস হত্যারহস্য উৎঘাটন হয়েছে। খুনে ও চুরির সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার সবুজ হোসেন (২৪) নাটোর সদরের বড়হরিশপুর এলাকার রমজান আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি। পুলিশ জানায়, তরুণ দাস (৫৮) মানসিক ভারসাম্যহীন। প্রায় রাতেই মহাশ্মশানের রান্নাঘরের বারান্দায় ঘুমিয়ে থাকতেন। তরুণ যে রাতে খুন হয়েছেন ওই রাতেই মহাশ্মশানের ভান্ডার কক্ষ থেকে কাঁসা ও পিতলের মালামাল এবং টাকা চুরি হয়। নাটোরের পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন জানান, গ্রেপ্তার সবুজ মাদকসেবী। তিনি পাঁচ বন্ধুকে নিয়ে ঘটনার রাতে মহাশ্মশানের পাশে বাগানে লেবু চুরি করতে যান। ওই দিন বিকালে মহাশ্মশানে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সংগৃহীত টাকা ভান্ডারে থাকতে পারে ধারণা থেকে তারা হানা দেন ভান্ডার কক্ষে। তরুণ কুমার ঘটনা দেখে ফেলেছেন সন্দেহে অভিযুক্তরা হাত-পা বেঁধে তার মুখে কাপড় গুঁজে দেয়। রাতের কোনো এক সময়ে শ্বাসরোধ হয়ে মারা যান তিনি। ঘটনার পর তোলপাড় হলে সবুজ বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট তৈরির চেষ্টাও চালান।
উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর ভোরে নাটোরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানের বারান্দা থেকে তরুণ দাসের (৫৮) হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তরুণ শহরের আলাইপুর ধোপাপাড়ার কালীপদ দাসের ছেলে।