নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকা লালমনিহাটের তিস্তা চরের কৃষকরা এবার তরমুজ চাষে সাফল্য পেয়েছেন। তরমুজের ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় ভাগ্য ফিরেছে তাদের। চাষিরা বলছেন, চরের তরমুজ সুস্বাদু হওয়ায় অন্য এলাকার পাইকার এসে সঠিক মূল্যে কিনে নিচ্ছেন। কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি বলেন, চরের বেলে-দোঁয়াশ মাটি তরমুজ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পরামর্শ ও সহায়তায় দিয়েছি। আগাম তরমুজের ভালো ফলন হয়েছে। জানা যায়, কালীগঞ্জের ভোটমারি ইউনিয়নের তিস্তা চরে ছিন্নমূল ও ভূমিহীনরা বাস করেন। কৃষি ও মাছ শিকারই এখানকার বাসিন্দাদের জীবিকার প্রধান মাধ্যম। শুষ্ক মৌসুমে সাধারণত চর প্লাবিত হয় না। এ সময় ধান আবাদও সম্ভব না। বিকল্প হিসেবে কৃষকরা শুরু করেন তরমুজ চাষ। আসে সফল্যও। শুধু কালীগঞ্জের চরেই নয়, জেলার পাঁচটি উপজেলার বেশকিছু চরে চাষ হয়েছে তরমুজের। ভোটমারী ইউনিয়নের কৃষক এজার আলী বলেন, কৃষি অফিস থেকে বীজ নিয়ে এ বছর শীত মৌসুমের শেষ দিকে আমরা কয়েকজন মিলে এক একর জমিতে আগাম তরমুজ আবাদ করি। খরচা হয় ১৫ হাজার টাকা। বিক্রি করেছি ৬০ হাজার টাকার তরমুজ। তিনি বলেন, আমাদের গত বছরের সফলতা দেখে অনেকে এ বছর আগাম তরমুজ আবাদ করেছেন। এ চরে এবার তিন একরে তরমুজ চাষ হয়েছে। তরমুজ চাষি রাকিব মিয়া জানান, তাদের এক একর জমিতে তরমুজ আবাদ করতে খরচা হয়েছিল ১৫ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকার বিক্রি করেছেন। আরও ৫০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন।
গরমের শুরুতেই কালীগঞ্জের হাটবাজারে ফেরি করেও প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে তরমুজের ব্যাপক চাহিদা। ক্রেতারা বেশি দাম দিয়েও কিনছেন।