বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মাশরুর রিয়াজ বলেছেন, দেশে বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে বিদ্যমান বিনিয়োগকারীরা কোনো রকম ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না। আবার নতুন বিনিয়োগকারীরাও পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় রয়েছেন। তারা একটি স্থিতিশীল পরিবেশের দিকে তাকিয়ে আছেন। এমনিতেই সামষ্টিক অর্থনীতিতে শ্লথ গতি বিদ্যমান। নতুন করে শিল্পের মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি করছেন না। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি ৩০ শতাংশ কমেছে। যা নির্দেশ করে যে, বিনিয়োগ কম হচ্ছে। আর বিনিয়োগ না হওয়ার চূড়ান্ত প্রভাব পড়বে কর্মসংস্থানের ওপর। এতে সামষ্টিক অর্থনীতি আরও শ্লথ হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে পলিসি এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী বলেন, রপ্তানি আগের কয়েক মাসের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। রেমিট্যান্সও বেড়েছে। ফলে রিজার্ভের পতনটা ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। তবে এর সঙ্গে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের ৩৭ শতাংশ শুল্কারোপ। যদিও সেটা তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। তিন মাস পর এই সিদ্ধান্ত যদি কার্যকর হয় তখন আমাদের রপ্তানি খাত আরও বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। কেননা এতে আমাদের রপ্তানি পণ্যের চাহিদা কমে যাবে। আবার আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনীতিতেও চাহিদা কমে গেছে। ফলে এখানে এই মুুহূর্তে নতুন করে বিনিয়োগ হচ্ছে না। সবকিছুর জন্য সবার আগে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি বলেও মনে করেন তিনি।