জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানে রাজবাড়ীর সাগর আহমেদের (২১) লাশ তুলতে সম্মতি দেয়নি তার পরিবার। পরিবারের আপত্তির মুখে লাশ উত্তোলন না করে ফিরে গেলেন তদন্ত কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এহসানুল হক শিপন বলেন, বিজ্ঞ আদালতের আদেশে আমরা সব প্রস্তুতি নিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ পুলিশের একটি দল নারুয়া গ্রামে এসেছিলাম। আমরা কবরস্থানের পাশে গেলে সাগরের বাবা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা লাশ উত্তোলনে আপত্তি করেন। আমরা পরিস্থিতি বুঝে লাশ উত্তোলন না করে ফিরে যাচ্ছি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমরা ফিরে গিয়ে বিজ্ঞ আদালতে বিষয়টি অবগত করব। গতকাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এহসানুল হক শিপন ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. রাশেদুল ইসলাম নারুয়া ইউনিয়নের টাকাপোড়া গ্রামে যান।
সেখানে করব থেকে সাগর আহম্মেদেভুলাশ উত্তোলন করতে গেলে আপত্তি জানান সাগরের বাবা তোফাজ্জল হোসেন ও মামলার বাদী সাগরের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম।
জানা গেছে, গত বছরের ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকার মিরপুর গোলচত্বরে গুলিতে শহীদ হন মিরপুর বাংলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাগর আহমেদ। পরদিন ২০ জুলাই তার লাশ গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের টাকাপোড়া গ্রামে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি শহীদ সাগর আহমেদের ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মিরপুর মডেল থানার মামলাটির তদন্তের আদেশ দেন।
সাগরের বাবা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমার ছেলেকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমার ছেলে হত্যার বিচারের জন্য অনেক প্রমাণ রয়েছে। লাশ কবর থেকে উত্তোলন করতে হলে আমাকে আগে করবে শুইয়ে তার পর তুলতে হবে।