সংযোগ সড়কবিহীন অবস্থায় খানসামার কালামাটিয়া খালের ওপর সেতুটি ৮ বছর ধরে পড়ে রয়েছে। এর সঙ্গে সংযোগ সড়ক না থাকায় ১০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তারা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁঁকি নিয়ে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি অস্থায়ী সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল করছেন।
স্থানীয়রা জানান, দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের বাসুলী গ্রামের মরিয়ম বাজারের পাশে কালামাটিয়া খালের ওপর ওই সংযোগ সড়কবিহীন সেতু ২০১৭ সাল থেকে এ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
জানা যায়, ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে কালামাটিয়া খাল খানসামার জালিয়াপাড়া-আলোকঝাড়ি থেকে উৎপত্তি হয়ে বিষ্ণুপুর গুচ্ছগ্রাম-আলোকঝাড়ি আত্রাই নদীতে পতিত হয়েছে। ২০১৪ সালের ১০ মে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় ৪৭ লাখ ৪২ হাজার ৭১৮ টাকা ব্যয়ে এ খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এর ৩ বছরের মধ্যেই ২০১৭ সালে বন্যায় সেতুটির এক পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে যায়। এরপর দীর্ঘ আট বছরেও সড়কটির সংস্কার বা পুনরায় মেরামত করা হয়নি। বর্তমানে সেতুর এক পাশে ব্যবহারযোগ্য থাকলেও অপর পাশে অন্তত ৫০-৬০ ফুট দৈর্ঘ্যরে সংযোগ সড়ক নেই। সাধারণ মানুষ কাঠ ও বাঁশ দিয়ে তৈরি অস্থায়ী সাঁকোর ওপর দিয়ে পারাপার হচ্ছেন, যা বর্ষা মৌসুমে আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
স্থানীয় নুর ইসলাম, মহিরউদ্দিনসহ কয়েকজন বলেন, সেতু আছে কিন্তু চলাচলের জন্য রাস্তা নেই। এতে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিদিন এ সেতুর ওপর দিয়েই জীবনের ঝুঁঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এটি ১০ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ। সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে।
রিকশা-ভ্যানচালক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এ সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় রিকশা-ভ্যান নিয়ে যাওয়া-আসা করা যায় না। রিকশা-ভ্যানে রোগী বা মালপত্র থাকলে মাঝপথে থেমে যেতে হয়। নেমে হেঁটে পার হতে হয়। বর্ষা মৌসুম এলে সাঁকো দিয়েও চলাচল করা যায় না।
খানসামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান সরকার বলেন, এটির ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কালামাটিয়া খালের ওপর সেতুর সঙ্গে সংযোগ সড়কের জন্য টেন্ডার হলেই কাজ শুরু করা হবে।