নীলফামারী জেলার ছয়টি উপজেলায় ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি অবাধে কেটে বিক্রি হচ্ছে। এতে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমির উর্বরতা। অনেক আবাদি জমি পরিণত হচ্ছে অনাবাদিতে। কমছে ফসল উৎপাদন। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। সংশ্লিষ্টরা জানান, ফসলি জমির উপরিভাগের মাটিতে থাকে জিপসাম বা দস্তা। মাটি খাটায় এ উপকরণ হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আবাদি জমি। এ ছাড়া মাটিতে যে জীবাণু থাকে এবং অণুজীবের কার্যাবলী আছে তাও সীমিত হয়ে যাচ্ছে। ওপর থেকে ছয় ইঞ্চির পর যে মাটি থাকে, তাতে ফলন ভালো হয় না। এ কারণে জেলায় দিনদিন ফসলি জমি উৎপাদন ক্ষমতা হারাচ্ছে। মাটির জৈব শক্তি কমে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির মুখে পড়ছে। এভাবে ফসলি জমির মাটি কাটা অব্যাহত থাকলে ধীরে ধীরে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে। নীলফামারী কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, টাকার প্রলোভন দিয়ে জমি মালিকদের কাছ থেকে ফসলি জমির মাটি গভীরভাবে খনন করে নিয়ে যাচ্ছে। খনন করা জমিতে আর ফসল চাষের কোনো উপায় থাকে না। এভাবে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ায় ফসলি জমি দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি বিষয়টি জেলা প্রশাসককেও জানিয়েছেন। জানা যায়, নীলফামারী জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইটভাটা রয়েছে সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ও বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নে। সরকারি নীতিমালার না মেনে এসব এলাকায় খননযন্ত্র ব্যবহার করে ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন ভাটায়। অভিযোগ আছে, বেশি টাকার লোভ দেখিয়ে ফসলি জমি ৭ থেকে ৮ ফুট গভীর করে মাটি কাটছেন ভাটামালিকরা। এতে পাশের জমি ধসে যাচ্ছে। ওইসব জমিতে ধানসহ অন্য ফসল আবাদ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ না নিলে আগামীতে এ অঞ্চলে খাদ্য ঘাটতিসহ ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়বে। ইট তৈরির প্রধান কাঁচামাল মাটি। ফসলি জমির মাটি দিয়ে ইট তৈরিতেও সুবিধা। এ ছাড়া হাতের নাগালে হওয়ায় কৃষকদের বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে মাটি কিনে নেয় একটি চক্র। এরপর তা বেশি দামে ইটভাটায় সরবরাহ করা হয়। সরেজমিনে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে দেখা যায়, ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়ায় পাশের যেসব উঁচু জমি রয়েছে সেগুলোও ধসে পড়েছে। ওই গ্রামের কৃষক হারুন মিয়া বলেন, অতিরিক্ত গভীর করে মাটি কাটায় আশপাশের সব জমিই ঝুঁকিতে পড়েছে। এই এলাকার আবাদি জমিসহ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শিরোনাম
- চান্দিনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রণবীর, সম্পাদক মাসুদ
- যশোরে সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণসহ আটক ২
- মুক্তিযুদ্ধের সময়ও আওয়ামী লীগ পালিয়ে গিয়েছিল : মঈন খান
- চার দশকের মধ্যে টেক্সাসে এমন ভয়াবহ বন্যা প্রথম
- ২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬
- কালকিনিতে নিখোঁজের একদিন পর পাটক্ষেতে মিলল বৃদ্ধের মরদেহ
- ইউরোপে সর্বোচ্চ সংখ্যক শরণার্থী জার্মানিতে, ২৫ জনে একজন আশ্রয়প্রার্থী
- বাতিল হওয়া সৌর প্রকল্পগুলো পুনর্বিবেচনার আহ্বান বিদ্যুৎকেন্দ্র মালিকদের
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচি শুরু
- সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা
- আর কত জীবন দেবে এ দেশের মানুষ বলে আক্ষেপ নজরুল ইসলামের
- শিবগঞ্জে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নারীর মৃত্যু
- ‘ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হলে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে’
- জুলাই-আগস্টে শেখ হাসিনার মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর আশা প্রসিকিউসনের
- অবৈধদের লুকিয়ে রাখার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ১ হাজার নিয়োগকর্তা আটক
- কুয়েতে হজযাত্রীদের নিবন্ধনে লটারি ব্যবস্থা
- তুরস্কে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় অব্যাহত, তিন মেয়র গ্রেপ্তার
- সন্ত্রাসবাদের ঘটনা তদন্তে মালয়েশিয়াকে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ
- গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা
- সাবেক সিইসি শামসুল হুদার মৃত্যুতে ইসির শোক