আলুতে পচন, ফেলা হচ্ছে পুকুর ডোবায়

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রিন্ট ভার্সন

সংরক্ষণ করতে না পারায় কৃষকের উৎপাদিত আলুতে পচন ধরেছে। ঠাকুরগাঁওয়ের চাষিরা বস্তায় বস্তায় পচা আলু ফেলে দিচ্ছেন পুকুর, ডোবা ও রাস্তার ধারে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। কৃষি বিভাগ থেকেও কোনো পরামর্শ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তাদের। উৎপাদনের শুরুর দিকে কৃষকরা কিছু আলু বিক্রি করতে পারলেও হিমাগারে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় সংরক্ষণ নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঠাকুরগাঁওয়ের উপ-পরিচালক মাজেদুল ইসলাম বলেন, কৃষক লাভের আশায় অতিরিক্ত আলু আবাদ করেছেন। অনেকে কোল্ড স্টোরেজে জায়গা পায়নি। এ কারণে আলু নষ্ট হচ্ছে। আমাদের পক্ষ থেকে তাদের সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁওয়ে এই মৌসুমে ২৭ হাজার হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে সাড়ে ৮ লাখ মেট্রিক টন। জেলায় হিমাগার আছে ১৭টি। এসব হিমাগারের ধারণক্ষমতা দেড় লাখ মেট্রিক টন। ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের ঢোলারহাট, আঁকচা ও নারগুনসহ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, প্রান্তিক কৃষকরা উৎপাদন খরচ তুলতে আশপাশে শেড নির্মাণ করে সংরক্ষণ করেন আলু। দুই মাসেই পচন ধরে সেই আলুতে। এ অবস্থায় দুশ্চিন্তায় পড়েন কৃষক। কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি বিভাগ কোনো উদ্যোগ নেয়নি আলু সংরক্ষণে। উপায় না পেয়ে তারা এখন দিশাহারা। আলু ব্যবসায়ী মোরশেদ আলম, আবু রায়হানসহ কয়েকজন বলেন, কৃষকের আলু সংরক্ষণে বা সরকারের পক্ষ থেকে রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেই। ফলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আগামীতে এমন পরিস্থিতি নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করেন তারা।