চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তবর্তী জেলা হলেও এবার এখানকার হাটে নেই ভারতীয় গরু। ভারতের গরু ছাড়াই জেলার বিভিন্ন হাটে জমে উঠছে পশু কেনাবেচা। দেশি গরু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মেটানোর পর উদ্বৃত্ত থাকবে জানিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রাণিসম্পদ বিভাগ। উৎপাদন খরচ বেড়ে হওয়ায় এ বছর গরুর দাম কিছুটা চড়া জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। জানা গেছে, সীমান্তবর্তীসহ জেলার সব হাটে এবার দেশি গরুর সরবরাহ অনেক। ভারতীয় গরু একেবারেই নেই। বিক্রেতারা বলছেন, গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। বাধ্য হয়েই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে গরু। মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ২ লাখ ৬৯১টি পশু। স্থানীয় খামারে প্রস্তুত করা এসব পশু জেলার চাহিদা মিটিয়েও প্রায় ৬৬ হাজার উদ্বৃত্ত থাকবে। বিভিন্ন খামার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ ঘনিয়ে আসায় পশুর বাড়তি যত্ন নিচ্ছেন খামারিরা। খামারের পাশাপাশি এসব পশু বেচাকেনা হচ্ছে স্থানীয় হাটবাজারেও। ঈদের দু-তিন দিন আগে পশুর বাজার আরও জমজমাট হবে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা ও হাট ইজারাদাররা। এবার হাটগুলোতে ছোট গরু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ হাজার, মাঝারি গরু ৮০-৯০ এবং বড় গরু বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, এ বছর ভারত থেকে গরু না আসায় দেশি জাতের গরু কোরবানি হবে। তিনি আরও বলেন, জেলায় স্থায়ীভাবে ১৯টি গরুর হাট রয়েছে। সেখানে ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম কাজ করছে। হাটে জাল নোট শনাক্তের পদ্ধতিসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।